ডোমেইন এবং হোস্টিং কি – ডোমেইন হোস্টিং কিভাবে কাজ করে

You are currently viewing ডোমেইন এবং হোস্টিং কি – ডোমেইন হোস্টিং কিভাবে কাজ করে

ডোমেইন এবং হোস্টিং কি? ওয়েবসাইট লঞ্চ করার জন্য প্রথমে যা দরকার তা হলো ডোমেইন এবং হোস্টিং কি। ডোমেইন হোস্টিং সেবা দানকারী এমন অনেক প্রতিষ্টান আছে যেখান থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে করে নিতে হয়। ওয়েবসাইট বানানোর ডোমেইন এবং হোস্টিং কি এবিষয়ে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ডোমেইন এবং হোস্টিং কি এবং ডোমেইন এবং হোস্টিং কি ভাবে কাজ করে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে। ডোমেইন এবং হোস্টিং কি তা জানার পাশাপাশি ডোমেইন হোস্টিং কোথা থেকে পার্সেস করবেন তাও জানতে পারবেন। ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

ডোমেইন এবং হোস্টিং কি (What is domain hosting)

ডোমেইন (Domain): প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট আইপি ঠিকানা থাকে, যেমনঃ 65.210.159.255.। কিন্তু আইপি ঠিকানা দিয়ে ওয়েবসাইট মনে রাখা অনেক কষ্টের ব্যাপার। এজন্য মনে রাখার সুবিধার্থে আইপি ঠিকানার পরিবর্তে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এক বা একাধিক কমপিউটার কে ইন্টারনেট এ চেনার জন্যও ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ডোমেইন নেম বলতে কোন ওয়েবসাইটের নাম কে বোঝায়। যেমন, facebook.com, google.com, youtube.com ইত্যাদি। প্রত্যেকটি মানুষ, প্রাণি বা বস্তুর একটি ডাক নাম থাকে যে নামে ঐ মানুষ, প্রাণি বা বস্তুকে আইডেন্টিফাই করা হয়। তেমনি প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটেরও একটি নির্দিষ্ট নাম আছে। Symbolics.com এটি হল প্রথম বাণিজ্যিক ডোমেইন নেম। যা ক্যাম্ব্রিজের কম্পিউটার ফার্ম সিম্বোলিক্স ১৫ মার্চ ১৯৮৫ তারিখে TLD com তে নিবন্ধন করে। ডিসেম্বর ২০০৯ সালে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন ডোমেইন নেম নিবন্ধিত হয়।

 ডোমেইন নেম এর কাজ কি – ডোমেইন যেভাবে কাজ করে

আমরা যখন আমাদের ওয়েব ব্রাউজারে ডোমেইন নেম লিখে এন্টার বাটন চাপি তখন আসলে কি ঘটে তা জানলেই ডোমেইন নেম কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে পারবো। নিচের চিত্রটি খেয়াল করুন তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে।

ডোমেইন হোস্টিং কিভাবে কাজ করে
  1. আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার উদ্দেশ্যে কোন ব্রাউজারে ওয়েব এড্রেস লিকে এন্টার চাপি, তখন সবার প্রথমে ব্রাউজার আইপি এড্রেস অনুসন্ধান করে এবং এটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের কাছে একটি অনুরোধ প্রেরণ করে যেটি পরে ডোমেইন নেম সিস্টেম (DNS) এ পরিবর্তন করে।
  2. এই সার্ভার গুলি তখন ডোমেইনের সাথে যুক্ত নেম সার্ভারগুলির সন্ধান করে এবং সেই নেম সার্ভারগুলিতে অনুরোধটি ফরওয়ার্ড করে।
  3. এবং এই নেম সার্ভার গুলিই হলো কম্পিউটার, যে গুলো হোস্টিং কোম্পানি দারা পরিচালিত হয়। এবং পরে হোস্টিং কোম্পানি অনুরোধটি সেই কম্পিউটারে ফরওয়ার্ড করবে যেখানে ওয়েবসাইটি সংরক্ষিত করা আছে।
  4. এরপর ফাইনালি ওয়েব হোস্ট অনুরোধ অনুযায়ি ওয়েবসাইটের ফাইলগুলওকে ব্রাউজারে প্রেরণ করে যার ফলে আমরা ওয়েবসাইটটি দেখতে পাই।

ডোমেইন এর প্রকারভেদ

বিভিন্ন প্রকারের ডোমেইন আছে। এক্সটেনশনের উপর ভিত্তি করে ডোমেইন চার ধরণের।

  • টপ লেভেল ডোমেইন
  • কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন
  • ফ্রি ডোমেইন
  • সাব ডোমেইন

টপ লেভেল ডোমেইন

যেই এক্সটেনশনওয়ালা ডোমেইনের মূল্য সবচে বেশি তাকে টপ লেভেল ডোমেইন বলা হয়। এ ধরণের ডোমেইন টাকা দিয়ে কিনতে হয়। সার্চ ইঞ্জিন এ ধরণের ডোমেইন কে বেশি গুরত্ব দিয়ে থাকে এবং ভিজিটররাও এধরণের ডোমেইনকে বেশি সমীহ করে। .com, .org, .info, .net ইত্যাদি টপ লেভেলের ডোমেইনের উদাহরণ।

কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন

যেসব এক্সটেনশনওয়ালা ডোমেইনগুলো নির্দিষ্ট দেশকে ইঙ্গীত করে তাকে কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন বলা হয়। নির্দিষ্ট দেশের মানুষকে টার্গেট করার জন্য কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করা হয়। একটি কান্ট্রি লেভেল ডোমেইনওয়ালা ওয়েবসাইট যেকোনো টপ লেভেল ডোমেইনওয়ালা ওয়েবসাইট থেকে অধিক ভিজিটর আনতে সক্ষম। যেহুতু কান্ট্রি লেভেল ডোমেইনগুলো বির্দিষ্ট দেশের মানুষকে টার্গেট করে সেহুতু একাধিক দেশের জন্য বানানো ওয়েবসাইটে কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন ব্যবহার না করাই ভালো। বাংলা দেশের জন্য .bd, ইন্ডিয়ার জন্য .in, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য .us ইত্যাদি এক্সটেনশন এগুলা হলো কাট্রি লেভেল ডোমেইনের উদাহরণ।

ফ্রি ডোমেইন

এমন অনেক এক্সটেনশনওয়ালা ডোমেইন আছে যেগুলো টাকা দিয়ে কিনতে হয় না। ভিবিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এসব ডোমেইন ফ্রিতেই রেজিস্ট্রেশন করা যায়। এর মধ্যে freenom.com অন্যতম। .tk, ml, .cf ইত্যাদি এক্সটেনশনওয়ালা ডোমেইন হলো ফ্রি ডোমেইনের উদাহরণ। প্রাক্টিস অথবা শখের বসে যদি ওয়েবসাইট বানান তাহলে আপনি একটি ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার করতেই পারেন। তবে প্রফেশনালি কোনো কাজের জন্য ওয়েবসাইট বানাতে গেলে কিছু টাকা খরচ করে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সাব ডোমেইন

সাব ডোমেইন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদাভাবে কিনে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি ডোমেইন কিনে নিলে সেই ডোমেইনের মধ্যেই একাধিক সাব ডোমেইন তৈরি করা যায়। উদাহরণ হিসেবে kamalmostakin.com এই ডোমেইনটিকে ধরা যায়। এই ডোমেইনটি আমি কিনে নিয়েছি এখন এই ডোমেইনের আন্ডারে blog.kamalmostakin.com, portfolio.kamalmostakin.com ইত্যাদি একাধিক ডোমেইন ক্রিয়েট করতে পারবো।

প্রিমিয়াম ডোমেইন

প্রিমিয়াম ডোমেইন হলো সেই ধরণের ডোমেইন, যে ডোমেইনগুলো হাই রেটিংওয়ালা। বিভিন্ন ডোমেইন এর মালিকরা তাদের মেধাকে এবং পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে একটি সাধারণ ডোমেইনকে হাইরেটিং ডোমেইনে পরিনত করে তারপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির কাছে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দেয়।

ডোমেইনের বিকল্প কি কিছু আছে?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যা আছে। তবে সেই বিকল্প পদ্ধতিটা অনেক বেশি জটিল। মনে করেন আপনার জন্মের পরে আপনার বাব মা আপনাকে কোনো নাম দেয়নি এখন লোকজন আপনাকে কি নামে ডাকবে? অমুক এলাকার তমুকের ৩ নাম্বার ছেলে। এরকম কিছু একটা। তখন লোকের আপনাকে চিনতে যেকরম ঝামেলা হবে তার চেয়েও অনেক বেশি ঝামেলা হবে। এই বিকল্প পদ্ধি ব্যবহার করতে গেলে। প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস আছে যা দেখতে অনেকটা এরকম – 00.534.629.54.66. এরকম মনে রাখা বেশ কষ্টকর। তাই এ সমস্যার সমাধান করার জন্য ডোমেইন এর উতপত্তি ঘটেছে।

কেউ চাইলে আইপি এড্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বানাতে ও ভিজিট করতে পারবে। তবে এই যুগে এত ঝামেলার মধ্যে যাওয়া সত্যিই বড্ড বেমানান।

আরো পড়ুন…

ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

হোস্টিং (Hosting):

আমরা যদি একটি বাড়ি বানাতে চাই তাহলে আমাদের প্রথমে কি দরকার হয় বলেনত? জমি। হ্যা একটুকরো জমির উপরেই গড়ে তোলা হয় একটি বাড়ি। ঠিক তেমনি আমরা যখন একটি ওয়েবসাইট বানাতে যাই তখন আমাদের দরকার পড়ে জমি বা স্থানের। মোট কথা ওয়েবসাইটের ফাইলগুলিকে যেখানে রাখা হয় তাই হলো হোস্টিং।

ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি এমন একটি কম্পিউটারে রাখা হয় যে কম্পিউটার ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত এবং দিনরাত ২৪ ঘন্টা চালু থাকে। ইন্টারনেটে ফ্রি কিংবা টাকার বিনিময়ে হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।

যেভাবে হোস্টিং কাজ করে থাকে

যখন কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্রাউজারে ডোমেইন নেম লিখে সার্চ করে তখন ডোমেইন নেমটি আইপি এড্রেসে রুপান্তরিত হয়ে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির কম্পিউটারে অনুরোধ করে এবং হোস্টিং কম্পিউটার তৎক্ষণিক ভাবে ভিজিটরের ব্রাউজারে ফেরত পাঠায়। যার ফলে ভিজিটরের ব্রাউজারে ওয়েবসাইটটি দৃশ্যমান হয়।

ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

হোস্টিং এর প্রকারভেদ

সুযোগ সুবিধার উপর ভিত্তি করে হোস্টিং কে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা –

  • শেয়ারড হোস্টিং (Shared hosting)
  • ভিপিএস হোস্টিং (VPS hosting)
  • ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated hosting)
  • ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজড হোস্টিং (WordPress managed hosting)

শেয়ারড হোস্টিং (Shared hosting)

যেই হোস্টিং সার্ভারে জায়গা ভাগাভাগি করে একাধিক ওয়েবসাইট ডাটা সংরক্ষণ করে তাকে শেয়ারড হোস্টিং বলা হয়। উদাহরণ সরূপ বলা যায় কোন একটি হোস্টিং কোম্পানির কাছে ১০০ জিবি হার্ড্ডিস্কের কম্পিউটার আছে, এখন তারা এই ১০০ জিবি ৫০টি ওয়েবসাইটকে ২ জিবি করে জায়গা দিলো। এরকম হোস্টিং সার্ভারই শেয়ারড হোস্টিং সার্ভার বলে বিবেচিত। কারণ সেখানে ৫০ টি ওয়েবসাইট জায়গা ভাগাভাগি করে নিজেদের ডাটা সংরক্ষণ করেছে।

অন্যান্য যেকোন হোস্টিং সার্ভারের চাইতে শেয়ারড হোস্টিং মূলত বেশি জনপ্রিয়। অন্যান্য যেকোন হোস্টিং সার্ভারের চাইতে শেয়ারড হোস্টিং এর দাম কিছুটা কম। জনপ্রিয়তার কারণ এটাই। একারণে বিভিন্ন ওয়েবাইট ওনাররা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করে থাকে।

বাংলাদেশি টাকায় মাসিক প্যাকেজে ৫০টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা এবং বাতসরিক প্যাকেজে ৫০০ থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি ভালো মানের হোস্টিং প্যাকেজ পাওয়া যায়।

কিন্তু শেয়ারড হোস্টিং এর ব্যবহারে কিছুটা সমস্যার বা অসুবিধার মুখোমুখিও হতে হয়। যেমন – শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহারে বেশ কিছু লিমিটেশন থাকতে পারে। অনেক ওয়েবসাইট একসাথে হোস্টিং ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার ফলে অনেক সময় সার্ভার স্লো হয়ে যেতে পারে। কোন একটি ওয়েবসাইটে যদি অধিক ভিজিটর আসার কারণে সাইটিটি স্লো হয়ে যায় তাহলে এর প্রভাব অন্যান্য ওয়েবসাইটের উপরেও পড়তে পারে।

যেসব ওয়েবসাইট অপেক্ষাকৃত নতুন এবং কম ভিজিটর থাকে তাহলে তাদের জন্য শেয়ারড হোস্টিংই ভালো আর যদি ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর থাকে যেমন- কোন ওয়েবসাইটে যদি দৈনিক ২০ থকে ২৫ হাজার ভিজিটর থাকে তাহলে শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার না করার জন্যই এক্সপার্টরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভিপিএস হোস্টিং সার্ভার

ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো VPS. এইধণের সার্ভার একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় না। এখানে একটি সার্ভার মাত্র একজন ব্যবহারকারীর দখলে থাকে। হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের হাই কনফিগারের কম্পিউটারে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তাদের একেকটি সার্ভার তৈরি করে রাখে। এরপর একেক জন ব্যবহারকারীর কাছে আলাদা আলদাভাবে ভাড়া দেয়।

এইধণের সার্ভারে একজন মাত্র ব্যবহারকারী থাকার কারণে শেয়ারড হোস্টিং এর তুলানায় অনেক বেশি ফাস্ট লোডিং এবং অনেক বেশি সিকিউরড হয়ে থাকে। আর একটি মাত্র সার্ভারে একটি মাত্র ওয়েবসাইট স্থাপন করা হয় কারণে এর সকল ক্ষমতা ব্যবহারকারীর হাতে থাকে।

ভিপিএস হোস্টিং সার্ভারের একটাই সমস্যা আর সেট হলো এর দামটা একটু বেশি। বাংলাদেশি টাকায় মাসে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মত খরচ হয়। তবে ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি প্রফিট হলে এই টাকা খুব বেশি মনে হবে না।

ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated hosting)

ডেডিকেটেড ওয়েবসার্ভার হলো এমন ধরণের সার্ভার যেখানে একটি কম্পিউটারে একটি মাত্র সার্ভার স্থাপন করা হয়। এবং একজন মাত্র ব্যবহারকারী সেই সার্ভারটি ব্যবহার করে। মানে পুরো একটি বিল্ডিংএ একজন মাত্র ব্যবহারকারী।

ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভার দুই প্রকারের।

  • ম্যানেজড হোস্টিং (Managed hosting) – ম্যানেজড হোস্টিং সার্ভার হলো সেই ধরণের হোস্টিং সার্ভার যে সার্ভারে সার্ভার মেইনটেইন্স, সফটওয়ার ইনস্টল, কনফিগারেশন ইত্যাদি কাজগুলো হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানই করে দেয়। গ্রহককে কিছুই করতে হয় না। এজন্য এধরণের সার্ভারের দামও বেশি হয়ে থাকে।
  • আনম্যানেজড হোস্টিং (Unmanaged hosting) – আনম্যানেজড হোস্টিং সার্ভার হলো সেই ধরণের হোস্টিং সার্ভার যে সার্ভারে সার্ভার মেইনটেইন্স, সফটওয়ার ইনস্টল, কনফিগারেশন ইত্যাদি কাজগুলো হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানই করে দেয় না বরং গ্রাহক নিজেই এসব কাজগুলো করে থাকে।

ডেডিকেটেড সার্ভারের মত এত স্বাধীণতা এবং সুযোগ সুবিধা অন্য হোস্টিং সার্ভারে পাওয়া যাবে না। আর খুজতে যাওয়াটাও একধরণের বোকামি। এধরণের সার্ভারে নিরাপত্তা যেমন অনেক বেশি তেমনি সাইট লোডিং স্পীড হয় সুপার ফাস্ট।

ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজড হোস্টিং (WordPress managed hosting)

ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে ওয়ারডপ্রেসের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। পুরো পৃথিবী মোট ওয়েবসাইটের ৩৭%+ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেসের চাহিদা অনেক বেশি একারণে হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য একধরণের হোস্টিং সারভার তৈরি করেছে। এধরণের সার্ভারই ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজড হোস্টিং সার্ভার। আর এধরণের সার্ভারে ওয়ার্ডপ্রেস ছাড়া অন্য কোন প্লাটফর্ম ইনস্টল করা যায় না।

ডোমেইন এবং হোস্টিং কি


ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

ডোমেইন হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান

একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করার জন্য সর্ব প্রথম যে জিনিশটি দরকার তা হলো – ডোমেইন এবং হোস্টিং। ডোমেইন হোস্টিং সেবা দেয় এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে সারা বিশ্বে। কিন্তু সব প্রতিষ্টানই ভালো সার্ভিস দেয় না। ভালো সার্ভিস দেয় না এমন কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস নিলে পরবর্তিতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এজন্য হোস্টিং সার্ভিস গ্রহন করার আগে সার্ভিস প্রভাইডকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে সার্ভিস গ্রহন করা উচিত। কারণ ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আমরা যখন ঐ ওয়েবসাইট থেকে প্রফিট করা শুরিউ করবো তখন যদি মাঝখান থেকে ঐ সার্ভিস প্রভাইডকারী প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যায় তাহলে সবচে বড় ক্ষতিটা হবে ওয়েবসাইটির মালিকের।

তাই আমি এখানে বিশ্বের নামকরা, জনপ্রিয় কয়েকটি ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানির নাম উল্লেখ করছি। যেগুলো বিশ্বের সবচে ট্রাস্টেবল  কোম্পানি। আপনি এদের থেকে নিশ্চন্তে সার্ভিস নিতে পারেন।

GODADDY

ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথমেই যে কোম্পানিটি রয়েছে সেটা হলো GODADDY. এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। এই কোম্পানি থেকে বছরে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ সেবা নিয়ে থাকে। এই কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন, ডোমেইন ট্রান্সফার ইত্যাদি সেবা নিতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

NAMECHEAP ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস থেকে কম দামে ডোমেইন হোস্টিং সেবা নিতে চান তাহলে নেইমচিপ ডট কম কে বেছে নিতে পারেন। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমানে এদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩মিলিয়ন +।
নেইমচিপের বিভিন্ন সেবার মধ্যে রয়েছে – ডোমেইন এবং হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন, ডোমেইন ট্রান্সফার, মার্কেটপ্লেসে ডোমেইন বিক্রি করা। এছাড়াও এখান থেকে লোগো বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে নিতে পারবেন।
এছাড়াও এখান থেকে বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটি সার্ভিস নিতে পারেন। যেমন – SSL Cirtificate, Premium DNS, WhoisGured, Public DNS এবং DPN.
আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করে নেইমচিপের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

BLUEHOST

জনপ্রিয় ডোমেইন-হোস্টিং কোম্পানিদের তালিকায় আরেকটি জনপ্রিয় কোম্পানি হল-BlueHost। এই কোম্পানিটি চালু হয় প্রায় বিশ বছর আগে 2003 সালে। বর্তমানে এখানে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই মিলিয়নেরও বেশি। 2010 সালের দিকে BlueHost এর কাস্টমার সংখ্যা ছিল 5 লক্ষ 25 হাজার।

বর্তমানের জনপ্রিয় ওয়াডপ্রেস এই BlueHost কোম্পানিকে রিকুমেন্ট করে থাকে। BlueHost কোম্পানিটি মূলত হোষ্টিং সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে। এছাড়াও এখানে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ,শেয়ার্ড হোষ্টিং, VPS , ডেডিকেটেড এবং রিসেলার হোষ্টিং পাবেন। আপনি চাইলে এখানে ডোমেইনও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

BlueHost কোম্পানি থেকে আপনি 24 ঘন্টা লাইভ চ্যাট এবং ইমেইল টিকেটিং অথবা ফোন কলের মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারবেন। এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ অফার করে থাকে। এখানে আপনি বেসিকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট এবং প্লাসএ আনলিমিটেড ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

ডোমেইন এবং হোস্টিং কি


ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

উপরোক্ত এগুলো সবই ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি। একারণে পেমেন্ট সিস্টেমও ইন্টান্যাশনালি মানে ডলারে মাধ্যমে সেবা নিতে হয় এখান থেকে। আপনার যদি ডলার সাপোর্টেড কার্ড না থাকে তাহলে বাংলাদেশি কোন কোম্পানি থেকেও সার্ভিস নিতে পারেন। তাহলে বিকাশ বা যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও সেবা নিতে পারবেন। বাংলাদেশে ভালো সেবাদান করেন এমন কিছু কোম্পানির হলো-

Dhaka Web Host

বাংলাদেশে ডোমেইন এবং হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে এর মধ্যে খুব ভালো একটি কোম্পানি হলো Dhaka Web Host . যদিও এটি অপেক্ষাকৃত নতুন কোম্পানি, তবুও এরা খুব ভাল সার্ভিস প্রদান করে। এবং দিন দিন এদের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। সাধারণত, ঢাকা ওয়েব হোস্ট শেয়ার্ড, রিসেলার, ভিপিএস, ডেডিকেটেড সার্ভার এবং হোস্টিংয়ের প্যাকেজ অফার করে থাকে। ঢাকা ওয়েব হোস্ট এর একটি বিশেষ সুবিধা হলো যে বাংলাদেশী কারেন্সীর পাশাপাশি পেপালের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যায়। এখানে ক্লিক করে এই কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

Alpha Net ডোমেইন এবং হোস্টিং কি

আলফা নেট আমেরিকা ভিত্তিক বাংলাদেশী ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি। দীর্ঘ ২০ বছর বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ও হোস্টিং সেবা প্রদান করে আসছে আলফা নেট। সুলভ মূল্যে সর্বাধুনিক লিনাক্স এবং উইন্ডোজ ওয়েব হোস্টিং আমেরিকা অথবা বাংলাদেশের ডাটাসেন্টারে আলফা নেটের নিজস্ব সার্ভারে রাখার ব্যবস্থা, এছাড়াও আলফা নেট দিচ্ছে লিনাক্স এবং উইন্ডোস প্লাটফর্মে অত্যাধুনিক ভার্চুয়াল এবং ডেডিকেটেড সার্ভার।

এখানে ক্লিক করে এই কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পুতুল হোস্ট ( PUTU HOST ) – কম দামে ডোমেইন হোস্টিং

আপনি যদি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ডোমেইন হোস্টিং কেনার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে পুতুল (putul host) থেকে নিশ্চিন্তে নিতে পারেন। এখানে খুব কম মূল্যে খুব ভাল মানের সার্ভিস পাবেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এনাদের সার্ভিস ব্যবহার করি। এদের সবচে বেশি যে ব্যাপারটা ভাল লাগে তাহলো কাস্টমার সাপোর্ট। লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এখান থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং পার্সেস করা খুবই সহজ। পুতুল হোস্ট এর ওয়েবসাইট ভিজিট করা জন্য এখানে ক্লিক করুন।

This Post Has 2 Comments

  1. Ripon

    কম মূল্যে খুব ভাল মানের সার্ভিস কিভাবে কাজ করে?

  2. Anonymous

    ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম

Leave a Reply