ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণ

  • Post author:
  • Post published:December 19, 2021
  • Post category:WordPress
  • Post comments:0 Comments
  • Post last modified:November 21, 2022
  • Reading time:4 mins read
You are currently viewing ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণ

আপনি যদি একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হন এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থেকে থাকে তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস এর নাম হয়ত শুনে থাকবেন। আর না শুনলেও ইতিমধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট অবশ্যই ভিজিট করেছেন আপনার নিজের অজান্তে। সোজা কথায় বলতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটি সফটওয়্যার। যেটি দিয়ে খুব সহজেই এমনকি আপনার যদি কোডিং সম্পর্কে কোন প্রকার আইডিয়া নাও থাকে তাহলেও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন এবং ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন। বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যতগুলি প্লাটফর্ম আছে তার মধ্যে সবচে জনপ্রিয় এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। ওয়ার্ডপ্রেস কি? এবং কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবেন? কেন ওয়ার্ডপ্রেস এত জনপ্রিয়? এসব নিয়ে যদি আপনার ইন্টারেস্ট থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি কন্টিনিউ করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কি?

একটি ওয়ার্ডপ্রেস কি তা জানার আগে আমাদের কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো, ওয়েবসাইট তৈরির সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট তৈরির টুলস। এটি এমন একটি টুলস যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে থাকা কন্টেন্টগুলোকে ম্যানেজ করা যায় এবং পুরো ওয়েবসাইটকে কন্ট্রোল করা যায়। জটিল কোডের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এবং ডেভেলপমেন্ট প্রকৃয়া সহজ করার জন্য কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্ভব হয়েছে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেক অনেক কোড লেখার প্রয়োজন পড়ে। প্রতিবার এত এত কোড লিখে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা একজন ডেভেলপারের জন্য অনেক সময় সাপেক্ষ এবং চ্যলেঞ্জিং একটি ব্যাপার। সেখানে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে এই কাজগুলো খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই করা যায়। বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি এবং ম্যানেজ করার জন্য অনেক অনেক কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কন্টেন্ট ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম হল, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ম্যাজেন্টা, পিএইচপি-নুক ইত্যাদি। আরো অনেক অনেক আছে আপনার একটু গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

এত এত কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের ভিড়ে থাকা সবচে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো ওয়ার্ডপ্রেস। এটি একটি ওপেনসোর্স সিএমএস। এর ডাউনলোড ব্যবহার সম্পূর্ণ বিনামুল্যে। আপনি এটিকে যেভাবে খুশি সেভাবে মোডিফাই, এডিট, কাটাছেড়া তথা যা খুশি তাই করতে পারবেন। এর জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। https://wordpress.org/ এই ওয়েবসাইট থেকে যেকোন সময় ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেস এর ইতিহাস

২০০৩ সালে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস প্রকাশিত হয়। আমেরিকান ওয়েব ডেভোলপার ম্যাট মুলেনওয়েগ (Matthew Charles Mullenweg) এবং ইংরেজি ডেভোলপার মাইক লিটল (Mike Little) কর্তৃক এটি ডেভেলপ করা হয়। প্রথম অবস্থায় এটি একটি ব্লগ পাব্লিশিং টুলস ছিল কিন্তু বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল-এ নির্মিত এবং GPLv2-এর অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিণত একটি কন্টেন্টম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সমগ্র বিশ্বে থাকা ওয়েবসাইটের ৪৩% এর বেশি মানুষ ওয়েবসাইট তৈরি করা ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন। ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমানে ৫.৮.২ ভার্সন চলছে এবং প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে।

ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা

  • ওপেনসোর্সঃ সফটওয়্যারটি ওপেনসোর্স এবং বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য কারো কাছে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নাই এবং ওয়ার্ডপ্রেস আপনি যেভাবে খুশি কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
  • কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরিঃ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কোন প্রকার কোডিং নলেজ না থাকলেও আপনি এটি দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে এবং ওয়েবসাইট কন্ট্রোল করতে পারবেন। তাই বলে আপনি কোডিং শিখবেন না বা জানবেন না বিষয়টা মোটেও এমন না। কোডিং নলেজ থাকলে আপনি আরো বেটার পারফর্মেন্স এপ্লাই করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে।
  • ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসঃ ওয়ার্ডপ্রেসের খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস থাকার কারণে খুব অদক্ষ ব্যবহারকারীও এটি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারে। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওয়ার্ডপ্রেসে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।

    General_Settings_WordPress
    ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড
  • থিম এবং প্লাগিনঃ ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণে ইতিমধ্যে ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য অনেক অনেক থিম এবং প্লাগিন তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে অনেক থিম এবং প্লাগিন রয়েছে ফ্রি এবং অনেক থিম এবং প্লাগিন রয়েছে পেইড। এসব থিম এবং প্লাগিন আপনার কাজের গতিকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। আপনার বাজেট যদি কম থাকে তাহলে আপনি শুধু ফ্রি থিম এবং প্লাগিন দিয়েও অনেক সুন্দর এবং প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস এর সেরা কিছু ফ্রি থিম সম্পর্কে জানুন। বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন।
  • যেকোন ওয়েবসাইট তৈরি করার সুবিধাঃ ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ইমাকার্স, ব্লগ, নিউজপেপার, বিজনেস, লইয়ার, মেডিকেল সহ যেকোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের ভবিষ্যৎ

২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ওয়ার্ডপ্রেসের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা দিনকেদিন বেড়েই চলছে। জনপ্রিয়তা অথবা সুযোগ সুবিধা যাই বলিনা কেন ওয়ার্ডপ্রেসের ধারে কাছে অন্য কোন প্লাটফর্ম নাই। কাজেই বলা যায় আরো দীর্ঘদিন ওয়ার্ডপ্রেস রাজত্ব করবে।

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার প্রসেস

আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শেখার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন? দুটি উত্তর হতে পারে- (১) নিজের ওয়েবসাইট মেইনটেইন করার জন্য। (২) ক্লাইন্টের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। আপনি যদি শুধুমাত্র নিজের ওয়েবসাইট মেইনটেইন করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান তাহলে আপনার শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেরস ড্যাসবোর্ড সম্পর্কে জানলেই হবে। আর এটা জানা তেমন কোন বিষয় না। ইউটিউব দেখে দেখে সপ্তাহখানেক ঘাটাঘাটি করলেই পেরে যাবেন।

আর যদি প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হতে চান তাহলে আপনাকে নিচের উল্লেখ করা বিষয়গুলো ফুলফিল করতে হবে এবং অনেক অনেক সময় নিয়ে অনেকগুলো বিষয় খুব ভালভাবে শিখতে হবে। HTML, CSS সহ আরো কতগুলো প্রগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর ব্যবহার আপনাকে জানতে হবে। নিচে আমি সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।

  1.  কম্পিউটারঃ- মোটামুটি ভালো মানের একটি কম্পিউটার। ইন্টারনেট কানেকশন।
  2.  সফটওয়্যার এবং টুলসঃ নোটপ্যাড++, ড্রিম ওয়েভার অথবা এ জাতীয় যেকোন একটি টেক্সট এডিটর সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা নিতে হবে। কারণ ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো এই টেক্সট এডিটর এর মাধ্যমেই লেখা এবং পরবর্তিতে এডিট করা হয়। ফটোশপ সম্পর্কে মোটামুটি আইডিয়া থাকতে হবে।
  3.  ইচ্ছাশক্তিঃ- প্রচুর পরিমানে ইচ্ছাশক্তি এবং ধৈর্য্য থাকা লাগবে।
  4.  কাজের পরিবেশঃ- আপনার কাজ করার জন্য একটি নিরিবিলি পরিবেশ প্রয়োজন। কারণ আপনাকে অনেক সুক্ষ এবং জটিল বিষয় খুব ঠান্ডা মাথায় শিখতে হবে।
  5. সময়ঃ- পর্যাপ্ত সময় আপনার হাতে থাকতে হবে। কাজ করতে বসলেন বউ এসে বাজারের ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিল অথবা ঘুরতে নিয়ে যেতে বললো অথবা আপনি খুব অর্থনৈতিক অভাব অটনের মধ্যে আছেন অল্পকদিন শিখে ইনকামের ধান্দা করছেন। হবে না ভাই। দৈনিক ৮/১০ ঘন্টা সময় নিয়ে মিনিমাম ২/৩ বছর মাগনা কামলা খাটার মানসিকতা থাকতে হবে।
  6. ভাষাগত দক্ষতাঃ- ইংরেজি মোটামুটি ভালো জানা লাগবে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনার ফুলফিল হয় তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হবার জার্নি শুরু করতে পারেন। শেখা শুরুর আগে আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন নিয়ে গোগল এবং ইউটিউবে ১০/১৫ দিন ঘাটাঘাটি করুন। আর্টিকেল পড়ুন, ভিডিও দেখুন। উদ্দেশ্যহীনভাবে যা সামনে পান তাই পড়ুন এবং দেখতে থাকুন। এতে করে আপনার নিজের একটা ধারণা তৈরি হবে এবং নিজেকে যাচাই করার একটা সুযোগ তৈরি হবে। যেহুতু আপনি কোডিংএর মত একটা কাটখোট্টা জিনিশ শিখতে যাচ্ছেন সেহুতু কোডিং প্রতি যদি ভালোলাগা এবং আগ্রহ তৈরি হয় তবেই আপনি শেখা শুরু করেন।

যদি নিজের সাথে বোঝাপড়া করে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন যে ওয়েব ডেভেলপার হবেন তাহলে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনি নিচের বিষয়গুলো সিরিয়াল বাই সিরিয়াল শেখা শুরু করে দিন।

  1. এইচটিএমএল (HTML)- এইচটিএমএল(hypertext markup language ) হচ্ছে এক ধরনের মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। এইচটিএমএল দ্বারা একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন অংশকে মার্ক করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের হেডার কোথায় হবে, ফুটার কোথায় হবে, সাইডবার কোথায় থাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি অংশগুলোকে এইচটিএমএল দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য HTML শিখতেই হবে এর বিকল্প নাই। HTML শেখার জন্য এখানে ক্লিক করে শেখা শুরু করে দিতে পারেন।
  2. সিএসএস (CSS)- ওয়েবসাইটের মেকাপ করা হয় সিএসএস (cascading style sheets) দিয়ে। HTML মার্কাপ করা ওয়েবসাইট মুলত একটা কংকাল। এই কংকালকে CSS মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করা হয়। আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি অংশের মাপ কতটুকো হবে, প্রত্যেকটি অংশে কালার কি রকম হবে, ছবি কত সাইজের হবে, ফন্ট সাইজ কত হবে বা কোন ফন্ট হবে ইত্যাদি সহ যাবতীয় ডিজাইনের কাজ করার জন্য সিএসএস শিখতে হবে। CSS শেখার জন্য এখানে ক্লিক করে শেখা শুরু করে দিতে পারেন।
  3.  Responsive Design – এটি সিএসএস এর একটি অংশ। একটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরণের ডিভাইস থেকে ভিজিট করা হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসে যাতে ওয়েবসাইটটি ঠিকঠাক ভাবে দেখায় এমন ভাবে ডিজাইন করাই হচ্ছে রেসপন্সিভ ডিজাইন। ওয়েবসাইট যদি শুধুমাত্র কম্পিউটারের জন্য ডিজাইন করা হয় তাহলে সেই ওয়েবসাইট মোবাইল দিয়ে ভিজিট করা হলে কন্টেন্ট ঠিক্টহাক মত শো করবে না। Responsive Design করার জন্য CSS এর ব্যবহার ভালোভাবে শিখতে হবে।
  4. Javascript & jQuery – Javascript & jQuery দিয়ে একটি ওয়েবসাইটের ইনটর একটিভ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে ধরুন- ফেসবুকে কেউ যখন আপনার পোস্টে কোন লাইক বা কমেন্ট করে, তখন আপনার কাছে একটি নটিফিকেশন আসে। এই কাজকে ইনটর একটিভিটি বলা হয়। এ ধরনের কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই Javascript & jQuery শিখতে হবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের স্লাইড শো, ইমেইল ফরম, ইমেল সাবস্ক্রিবশন ফরম ও লগইন ফরম তৈরি করে সেটাকে ফ্যাংশনাল করার জন্য Javascript & jQuery লাগবে। Javascript & jQuery শেখার জন্য এখানে ক্লিক করে শেখা শুরু করে দিতে পারেন।
  5.  Bootstrap – Bootstrap হচ্ছে অনেক জনিপ্রয় একটি ফন্ট ইন ফ্রেমওয়ার্ক। এটির সাহায্যে একটি ওয়েবসাইটকে খুব অল্প সময়ে খুব চমৎকার ডিজাইন করে ফালা যায়। CSS দিয়ে যে কাজ করতে আপনার ১ঘন্টা লাগবে Bootsrap দিয়ে সেই কাজ ১০ মিনিটে করতে পারবেন। অধিকাংশ ক্লায়েন্টরা তাদের ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য Bootstrap এর ডিমান্ড করে থাকে। এইচটিএমএল, সিএসএস ও Javascript & jQuery শিখে থাকলে Bootstrap শিখাটা আপনার জন্য পান্তাভাত।
  6.  পিএচপি (PHP) একটি ওয়েবসাইটকে ডায়নামিক বা ফ্যাংশনাল করার জন্য পিএইচপি ব্যবহার করা হয়। অবশ্য এ জাতীয় আরো অনেক ল্যাঙ্গুয়েজ আছে যার মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। তবে আপনি প্রথমে PHP শিখুন। ডায়নামিক ওয়েবসাইট নিয়ে আমি উপরের আলোচনা করেছি। মূলত একটি ওয়েবসাইটের এ্যাডমিন প্যানেল তৈরি করার জন্য পিএইচপি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত যে ওয়েবসাইট বেশি ডায়নামিক বা ফ্যাংশানাল করা থাকে, সে ওয়েবসাইট বা থীমের ডিমান্ড বেশি হয়।
  7.  ফটোশপ (Photoshop)- ফটোসপ সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে। ফটোশপে খুব বেশি অভিজ্ঞ না হলে আপনাকে শেখা লাগবে। কারণ ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য মাঝে মধ্যে ওয়েবসাইটের লোগো ডিজাইন, লোগো, ইমেজ সাইজ, রিজাইজ এরকম আরো টুকটাক কাজের দরকার পড়ে। এ ক্ষেত্রে ফটোশপ জানা না থাকলে আপনি একজন অভীজ্ঞ ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবেন না। তাছাড়া সাধারণত ক্লায়েন্টরা ফটোশপে তাদের ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে একজন ওয়েব ডেভেলপারের কাছে নিয়ে আসে। এ ক্ষেত্রে ফটোশপ থেকে ওয়েবসাইটের এলিমেন্ট আলাদা করার জন্য অবশ্যই ফটোশপ সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।ওয়ার্ডপ্রেস কি?

এই পর্যন্ত শেখার পরে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন। দুই চারদিন ঘাটাঘাটি করে ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড মুখস্ত করে ফেলুন। এরপর ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন বিভাগ আছে যেমন, থিম ডেভেলপমেন্ট, প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট। এই থিম প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা রয়েছে যেমন ইকমার্স, নিউজপেপার, বিজনেস ইত্যাদি। এখন আপনি চাইলেই কিন্তু একা একা সবগুলো বিষয় শিখে শেষ করতে পারবেন না। তাই আপনাকে একটি ধারা নিয়ে আগাতে হবে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো কোথা থেকে শিখবেনঃ

আপনার শিখার আগ্রহ থাকলে প্রথমত অনলাইনে গোগল ইউটিউব হতে শিখতে পারেন। বিভিন্ন লেখকের বই পড়তে পারেন। কোন কোচিং সেন্টার থেকে শিখতে পারেন।
তবে আমি বলবো আপনি শুরুতেই কোথাও ভর্তি হয়ে টাকা খরচ না করে অনলাইনে ফ্রি রিসোর্সগুলো থেকে চেষ্টা করুন। আমি এখানে কিছু ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি। আপনি এখান থেকে অনেক উপকৃত হবেন। ওয়ার্ডপ্রেস কি?

এইসব ফ্রি রিসোর্স থেকে কিছুদিন শেখার পরে ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। প্রিমিয়াম কোর্স কিনে নিজে নিজে বাসায় বসে শিখতে পারেন। তাহলে আপনার শেখাটা আরো দ্রুত হবে।

সবগুলো কাজ শিখে যাবার পরে আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে যাবেন। তখন একটু চেষ্টা করলেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফিল্ডে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। অফলাইন, অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম হতে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। কি ভাবছেন গুল মারছি, তাই আপনি হয়ত বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছেন। না ভাই এটা ১০০% সত্য আপনি একজন ভালোমানের ওয়েব ডেভেলপার হলে আপনাকে কোন চাকরি খুঁজতে হবে না। তখন বিভিন্ন আইটি কোম্পানি আপনাকে চাকরির জন্য অফার করবে। কারণ ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচুর পরিমানে ডিমান্ড রয়েছে।ওয়ার্ডপ্রেস কি?

ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণ

ওয়ার্ডপ্রেস এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হচ্ছে সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। সহজেই কম্পিউটার সম্পর্কে হালকা ধারণা আছে এমন লোকজন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে পারেন। তিনি যদি কোডিং নলেজ নাও জানেন তাতেও কোন সমস্যা নাই। ফ্রিতেই অনেক প্রফেশনাল মানের থিম এবং প্লাগিন আছে। ওয়ার্ডপ্রেস প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে এবং নিত্য নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে।

ওয়ার্ডপ্রেসের একটি বিশাল কমিউনিটি রয়েছে। আপনি কাজ নিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে সেখানে আলোচনা করে খুব সহজেই সমাধান পেতে পারেন। হাজার হাজার ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার আছেন আপনাকে সাহায্য করার জন্য।

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণ বিনামুল্যে ব্যবহার যোগ্য। ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরিকৃত ওয়েবসাইট খুব এসইও ফ্রেন্ডলি। হাইলি সিকিউরড। এরকম আরো অনেক অনেক কারণ রয়েছে জনপ্রিয়তার।ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেস কি?

আজ এ পর্যন্তই। এরপর অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply