প্রয়োজনীয় এপস – স্মার্টফোন আমাদের জীবন যাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কম্পিউটারের অনেক কাজই এখন হাতে থাকে স্মার্ট ফোন দিয়ে করা যায় কিন্তু এর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় এপস। কারণ স্মার্ট ফোনের সাহয্যে আমরা যত ধরণের কাজ করে থাকি সবই কোন না কোন এপ এর সাহয্যে। স্মার্ট ফোনের মধ্যে সবচে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে এন্ড্রয়েড। আর এই জনপ্রিয়তার মূলেও রয়েছে প্রয়োজনীয় এপস এর সহজলভ্যতা। প্লেস্টোরে ফ্রিতেই হাজার হাজার প্রয়োজনীয় এপস আছে। আমি আজকে এন্ড্রয়েডের জন্য প্রয়োজনীয় এপস নিয়ে আলোচনা করবো। যাতে করে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় এপস খুঁজে পেতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় এপস এর সাহয্যে আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো খুব সহজে করতে পারেন। কাজেই আপনি যদি এন্ড্রয়েডের জন্য প্রয়োজনীয় এপস খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
প্রয়োজনীয় এপস
আমরা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করার মাধমে কি কি কাজ করতে পারি এবং এই সকল কাজের জন্য সবচে ভাল কি কি এপস আছে তা যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টকেলটি আপনার জন্য। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
পিডিএফ ফাইল তৈরি এবং দেখার প্রয়োজনীয় এপস
আপনি যদি এন্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে কোন টেক্সট, ছবি অথবা ওয়ার্ড ফাইলকে PDF ফাইলে রূপান্তর করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে ভালো মানের একটি এপস। আমি এখানে আপনাকে তিনটি এপস সাজেস্ট করছি। এর মধ্যে যেকোন একটি ব্যবহার করে আপনি পিডিএফ ফাইল তৈরি করতে এবং পড়তে পারবেন।
- WPS Office – Free Office Suite for Word,PDF,Excel: এটি মূলত এক ধরণের অফিস এপস। এই একটি মাত্র এপস ব্যবহার করে আপনি পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অনেক কাজ করতে পারবেন। আরো করতে পারবেন – Document টাইপ করা, Preasentation তৈরি, Spreadsheet তৈরি, PDF ফাইল তৈরি, Memo তৈরি এছাড়াও আরো অনেক ধরণের কাজ করতে পারবেন। এই এপসটি প্লেস্টোর থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড লিঙ্ক।
- Adobe Acrobat Reader: PDF Viewer, Editor & Creator: যেকোন টাইপ পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য এটি একটি অত্যন্ত চমৎকার এপস। এই এপসটির কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটি ভার্সনই আছে। এটা ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরণের এপস আছে। তবে গুণে ও মানে এই এপসটি সেরা। এই এন্ড্রয়েড এপসের মাধ্যেমে আপনি পিডিএফ ফাইল পড়তে পারবেন, এডিট করতে এবং নতুন ফাইল তৈরিও করতে পারবেন। এই এপসটি প্লেস্টোর থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড লিঙ্ক।
- OfficeSuite – Word docs, Excel sheets, PDF & more: এন্ড্রয়েডের আরো একটি ভালো মানের পিডিএফ রিডার এপস। এছাড়াও এই এপসটি দিয়ে Document টাইপ করা, Preasentation তৈরি, Spreadsheet তৈরি ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। এই এপসটি প্লেস্টোর থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড লিঙ্ক।
ছবি এডিড করার প্রয়োজনীয় এপস
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফটো এডিট করার চিন্তা করে থাকেন তাহলে আমি আপনার জন্য এখানে সবচে ভালো এন্ড্রয়েড এপসগুলো সাজেস্ট করছি। আপনি এই এপসগুলো দিয়ে খুব ভাল ভাবে যেকোন ছবি এডিট করতে পারবেন।
- Snapseed: Snapseed একটি প্রফেশনাল ছবি এডিটিং অ্যাপস। এই অ্যাপসটি গোগল দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে। এটি একটি চমৎকার ছবি এডিটিং মোবাইল অ্যাপস। এই অ্যাপসটি আপনি প্রায় সব ধরণের কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপসটির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের টুলস এবং ফিচারস আছে। Selective filter brush, Tune image, Crop, Lens blur, Glamoure, Face enhance, Face pose, Curves, Frames সহ আরো বিভিন্ন ধরণের ফিচার এখানে পাবেন। যেগুলো ব্যবহার করে ছবিকে আপনার মনের মত এডিট করতে পারবেন।
- VSCO Photo Editor: এই অ্যাপটি ব্যবহারে করে আপনি কোন রকম এডিটিং ছাড়াই এক ক্লিকে ছবির রং এবং রূপ বদলে দিতে পারবেন। এর জন্য এই অ্যাপটির অনেকগুলো ফিল্টার অপশন আছে। এছাড়া vsco app থেকে ছবি ম্যানুয়ালি ও এডিট করার বেশ কিছু টুল পাবেন যেমন- VSCO’s preset library with over 200+ presets, advanced photo editing tools like HSL and Split Tone, VIDEO EDITOR, VSCO MONTAGE.
- Adobe Lightroom:কম্পিউটারের সব থেকে জনপ্রিয় ছবি এডিটিং সফটওয়্যার হলো – Adobe photoshop। Adobe Lightroom হচ্ছে সেই একই কোম্পানির মোবাইলে app। আমি ব্যক্তিগতভাবে Lightroom ফটো এডিটিং অ্যাপসটিকে দারুন পছন্দ করি। এই অ্যাপটি অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। এই অ্যাপটির স্পেশাল কিছউ ফিচারের কারণে এই অ্যাপটি অন্যান্য ফটো এডিটিং অ্যাপের থেকে আলাদা। যেমন – অন্ধকারে তোলা ছবিকে সহজে উজ্জল করতে পারবেন, এই অ্যাপটির মধ্যে অনেকগুলো ফিল্টার আছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই ছবির কালার, স্টাইল ও লুক পালটানো যায়। আছে অটো মুড অপশন। যা দ্বারা এক ক্লিকেই ছবির রুপ পালটে দিতে পারবেন।
- PicsArt Photo Editor: এই অ্যাপটি সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নাই। এটি আমার ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দের একটি অ্যাাপ। এই অ্যাপটি মধ্যে প্রচুর ফিচার আছে, যেমন – Tools, Effects, Beatify, Cutout, Text, Add Photo, Fit, Brushes, Border, Mask, Draw, Lense Flare, Shape Mask, Frame, Callout. অ্যাপটি ওপেন করে এডিটিং মুডে গেলে উক্ত অপশঙ্গুলী দেখতে পাবেন। এগুলোর প্রত্যেকটার আন্ডারে আরও সাব ফিচার পাবেন।
আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন…
- ছবি এডিট সফটওয়্যার ২০২১ – মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
- ছবি এডিট করার অ্যাপস – মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট
ভিডিও এডিট করার প্রয়োজনীয় এপস
টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং এপসের চাহিদাও বেড়েছে। এর কারণ হলো আমরা যারা ফেসবুক অথবা ইউটিউব ইত্যাদি ওয়েবসাইটের জন্য ভিডিও বানাই বানাতে চাই তাদের সবার কাছেই কম্পিউটার থাকে না। কিন্তু ভিডিও এডিট করার দরকার পড়ে। এজন্যই বিকপ্ল ব্যবস্থা হিসেবে মোবাইল ভিডিও এডিটরের এত চাহিদা।
আজকে আমি এমন কিছু এন্ড্রইয়েড ভিডিও এডিটর এপস এর নাম বলবো যেগুলো দিয়ে যেকোনো ভিডিও এডিটিং করে প্রফেশনাল রূপ দিতে পারবেন।
- VideoShow Video Editor, Video Maker, Photo Editor: ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্লেস্টোরে যতগুলো ফ্রি এপস পাওয়া যায় তার অন্যতম সেরা এপ এটি এতে কোনো সন্দেহ নাই। এই এপটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটির ইন্টারফেস ইউজার ফ্রেন্ডলি।এছাড়া এখানে অনেক ফাংশনালিটি আছে যেমন টেক্সট,এফেক্টস,music,সাউন্ড এফেক্টস বা লাইভ dubbing ব্যবহার করে আপনার ভিডিও কে আরো সুন্দর করতে পারেন। এছাড়াও ৫০ ধরণের বিভিন্ন থিমস পেয়েযাবেন যার সাহায্যে ভিডিও র সৌন্দর্য্য বাড়তে পারবেন।
- Editors’ ChoiceEditors’ Choice KineMaster – Video Editor, Video Maker: আপনি যদি মোবাইল দিয়েই প্রফেশনালি ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে কাইনমাস্টার এপটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে। এই এপটির মধ্যে অনেক অনেক ফিচার এবং ফাংশনালিটি আছে যেগুলো আপনি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এটির মধ্যে subtitles সংযুক্ত করা, handwriting, stickers, overlays, multiple video layer এই ধরণের বিভিন্ন স্পেশাল ফিচারস মজুত রয়েছে। এই এপটির প্রিমিয়াম ভার্শনও আছে। আপনি যদি ফ্রিতে ব্যবহার করতে যান করতে পারবেন তবে ভিডিওর উপরে ছোট্ট করে watermark থেকে যাবে। watermark রিমুভ করতে হলে আপনাকে প্রিমিয়াম app buy করতে হবে।
- PowerDirector – Video Editor App, Best Video Maker: সেরা এন্ড্রয়েডের জন্য সেরা কয়েকটি ভিডিও এডিটিং এপ এর মধ্যে পাওয়ার ডিরেক্টর একটি। ভিডিও এডিট করার জন্য এটির ইন্টারফেস সহজ, কিন্তু তবে প্রথম প্রথম এটি আপনার কাছে ঝামেলার মনে হতে পারে। তবে আপনি যখন এটি ব্যবহারে করে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন মাতে অল্প সময়ের মধ্যে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করে ফেলতে পারবেন। এই এপটির স্পেশাল ফিচারস গুলির মধ্যে একটি slow mo video তৈরী করা যায়।
অনলাইন কোর্স আর কিছু শেখার প্রয়োজনীয় এপস
আপনি যদি অনলাইনে কোর্স করার জন্য এন্ড্রয়েড এপস খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি প্লেস্টোরে এমন অনেকে এপস পেয়ে যাবেন। কিন্তু প্লেস্টোরে যতগুল এপস পাওয়া যায় তার সবগুলোও ভাল মানের এপস না। তাই আমি আজকে এখানে আপনাকে এমন কিছু এপসের নাম বলবো যেগুলো ব্যবহার করে আপনি সত্যিই অনেক উপকৃত হবেন।
- Khan Academy: খান একাডেমি একটি মার্কিন অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সালমান খান নামে এক বাংলাদেশীর হাতে ধরে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই সংস্থাটি শুরু থেকেই “সকলের জন্য, সব জায়গায়- বিনামূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষাদান” স্লোগানে কাজ করে আসছে। কীভাবে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা সহায়ক প্লাটফর্ম গড়ে তোলা যায়- এই চিন্তা থেকেই খান একাডেমির যাত্রা শুরু। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত একাডেমির নিজের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রায় ৩১০০ এর বেশি ভিডিও টিউটোরিয়াল নির্মিত হয়েছে, এগুলোর সব কিছুই বিশ্বজুড়ে সবার জন্য উম্মুক্ত। এই ওয়েবসাইটের প্রধান ভাষা ইংরেজি হলেও বর্তমানে এর বিষয়বস্তু স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ইতালীয়, রাশিয়ান, তুর্কি, ফ্রেঞ্চ, বাংলা এবং হিন্দি সহ অন্যান্য ভাষায়ও পাওয়া যায়। ২ মার্চ ২০১৬ তারিখে ঢাকায় খান একাডেমির বাংলা সংস্করণ উদ্বোধন করা হয়।
- Satt Academy:J স্যাট একাডেমি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে এই এপটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ লার্ণিং প্লাটফর্ম। এখানে আপনি বিনামূল্যে আইটি রিলেডেড কোর্স ( ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট ) করতে পারবেন। এই এপএর সব কিছু বাংলাতে খুব সুন্দর ভাবে লেখা আছে। প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে এখনি শেখা শুরু করে দিতে পারেন।
- Udemy – Online Courses: ইউডেমিতে প্রায় সব ধরণের কোর্স রয়েছে যেমন, পদার্থ, গণিত, রসায়ন, স্কেচ আঁকা, প্রোগ্রামিং, আর্কিটেকচার, মিউজিক, ব্যবস্যা, আর্ট, ইয়োগা, ভিবিন্ন ভাষা শিক্ষা, মোটর ড্রাইভিং, গেমস, গিটার, ড্রাম, বেহালা, মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, IELTS, Spoken English সহ আরো হাজার রকমের কোর্স। এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এড্রেস হচ্ছে udemy.com. এই ওয়েবসাইটের কিছু কোর্স আছে যেগুলো ফ্রি আবার কিছু কোর্স আছে যেগুলো পেইড মানে টাকা দিয়ে কিনতে হয়। আপনি সরাসরি ব্রাউজারের মাধ্যমে তাদের ওয়েবসাইটে নাঢুকেও এই এপের সাহয্যে যেকোন কোর্স করতে পারবেন।
সেরা ভিডিও প্লেয়ার এপস – ভিডিও দেখার প্রয়োজনীয় এপস
আমাদের হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি দিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি ভিডিও প্লে করার প্র্যোজন পড়ে। এক্ষেত্রে সব ফোনেই একটি ডিফল্ট ভিডিও প্লেয়ার থাকে কিন্তু সেই ভিডিও প্লেয়ারে সব ধরণের সুবিধা থাকে না। একারণে আমাদের থার্ডপার্টি এপ খুজতে হয়। এখন কথা হলো প্লেস্টোরে থাকে এত এত ভিডিও প্লেয়ারের মধ্যে আমরা কোনটা ব্যবহার করবো। আমি নি সব ভালো দুটি প্লেয়ার নিয়ে আলোচনা করালাম এখান থেকে যেকোন একটা ব্যবহার করতে পারেন।
- MX Player:pp এন্ড্রয়েডের জন্য জনপ্রিয় এপসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে MX Player এটি দারুন জনপ্রিয় একটি এন্ড্রয়েড এপ। এটিতে ogg, avi, mkv, aup, mp4 সহ প্রায় সব ধরণের ভিডিও সাপোর্ট করে। এই এপটি অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি।
- VLC Player: যারা ডেস্কটপ ব্যবহার করেছেন তারা হয়তো এই এপটির নাম শুনে থাকবেন। কিন্তু এটির একটি এন্ড্রয়েড ভার্সনও আছে। এই এপটির Historu, Jump to time, Audio deley, Pop uP Play সহ দারুন কিছু ফিচার আছে। যেকারণে এই এপটি ব্যবহার করার ফলে দারুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
সেরা মিউজিক প্লেয়ার এপস – গান শোনার প্রয়োজনীয় এপস
হাতে থাকা এন্ড্রয়েড ফোনটির সাহায্যে গান শোনার অভিজ্ঞতাকে আরো সুখকর করে তোলার জন্য একটি ভালো মিউজিক প্লেয়ারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গান শোনার অভিজ্ঞতাকে ভিন্নমাত্রা দিতে নিচে বর্ণনা করা মিউজিক প্লেয়ার এপসগুলি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
- Spotify: Listen to podcasts & find music you love: আপনি যদি সঙ্গীত প্রেমি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই অ্যাপটি হবে পারফেক্ট চয়েজ। আমার বিশ্বাস আপনি এই এটি ব্যবহার করা শুরু করলে আর ছাড়তে পারবেন না।Spotify অ্যাপটি আপনাকে বিশ্বব্যাপী মিউজিক পরিবারের সাথে যুক্ত করবে। দেশি বিদেশি যেকোন শিল্পির গান শুনতে পারবেন এই অ্যাপ থেকে।
-
Phonograph Music Player: এটি একটি খুব ভালো মানের এবং লাইটওয়েট মিউজিক প্লেয়ার। এটির ইন্টারফেস অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি তাই ব্যবহার করা অনেক সহজ। এখনি প্লেস্টোর থেকে এপটি ডাউনলোড করুন আর আপনার ফোনে থাকা মিউজিক উপভোগ করুন।
প্রয়োজনীয় এপস – সেরা সোশ্যাল মিডিয়া এপস
অনলাইন জগতে এখন সবচে আলোচিত বিষয় হচ্ছে সোসাল মিডিয়া। আগে এসব সোসাল মিডিয়া ওয়েবসাইট বা এপসগুলো শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম থাকলেও এখন বর্তমানে এসব ওয়েবসাইট বা এপসগুলোর বহুবিধ কাজ রয়েছে। এসব এপস ওনাররা তাদের এপসের মধ্যে বহুবিধ ফিচার যুক্ত করেছে। যার ফলে এসব এপসের মাধ্যমে মানুষ তাদের ব্যবসার প্রচার, প্রসার এবং কেনাকাটা সব কিছুই সম্ভব হচ্ছে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সবচে জনপ্রিয়তার তালিকায় থাকা তিনটি এপস নিয়ে আলোচনা করা হলো-
- Facebook: বিশ্বের সবচাইতে সবচে বড় এবং জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া হলো – ফেসবুক। প্রতিনিয়ত এর ফিচার বেড়েই চলছে। একটি স্মার্ট ফোন এবং একট ফেসবুক এপ যদি আপনার ফোনে ইনস্টল করা থাকে তাহলে দুনিয়া আপনার হাতের মুঠোয়। ফেসবুক এর নিজস্ব এন্ড্রয়েড এপস এর অনেক অনেক ফিচার আছে। যেমন – ইন্সট্যান্ট চ্যাট, এবং কলিং অপশন, লাইভ ব্রডক্যাস্ট অপশন, ভিডিও কল অপশন, ফ্রি ডাউনলোড ও আপডেট করা সম্ভব, প্রিমিয়াম অপশন ও রয়েছে তবে সেটা ব্যবসায়িক উদ্যেশে, পুশ নোটিফিকেশন সিস্টেম, প্রোফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, পেজ মেনেজম্যান্ট সিস্টেম, সহজ ইন্টারফেস, ফাস্ট ব্রাউজিং এবং উন্নত সিকিউরিটি সুবিধা।
- WhatsApp Messenger: এটি একটি ক্রস ফ্লাটফর্ম। এই এপসের মাধ্যমে আপনি মেসেজিং, ফাইল সেয়ারিং এবং অডিও ভিডিও কলিংএর সুযোগ সুবিধা পাবেন। হোয়াটসয়াপ এর নিজস্ব এন্ড্রয়েড এপস এর অনেক অনেক ফিচার আছে। যেমন – উন্নত সিকিউরিটি তাই হ্যাক এর আশংকা কম, সহজ ইন্টারফেস, গ্রুপ মেসেজিং করা যায়, ফ্রি ডাউনলোড ও আপডেট করা সম্ভব, ফ্রি এবং প্রিমিয়াম উভয় অপশন বিদ্যমান, ফ্রি ডাউনলোড করা যায়, ফাইল শেয়ার করা যায়, অডিও রেকর্ড সেন্ড করা যায়, কলিং সিস্টেম রয়েছে, সেন্ড এন্ড রিসিভ ইন্সট্যান্ট মেসেজ
- Twitter: টুইটার ফেসবুকের মত অনেক বড় এবং জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এটিরও এন্ড্রয়েড এপ আছে আপনি চাইলেই প্লেস্টোর থেকে এট ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এই এপটিরও অনেক অনেক ফিচার আছে। যেমন – ফ্রি ডাউনলোড করা যায়, হ্যাশট্যাগ কানেক্টিভিটি সিস্টেম, কনটেন্ট শেয়ার করা যায়, ইন্সট্যান্ট ব্রেকিং নিউজ জানা যায়, ইন্সট্যান্ট মেসেজ করা যায়, এর মাঝেও বর্তমানে প্রিমিয়াম বিজনেস সেটাপ অপশন রয়েছে, ফেসবুক এর মতো প্রিমিয়াম এড বুস্ট করা সম্ভব, ইউজার ইন্টারফেস আকর্ষণীয় এবং সহজ।
আরো প্রয়োজনীয় এপস…
- এন্ড্রয়েডের প্রয়োজনীয় এপস – প্রয়োজনীয় মোবাইল এপস ২০২১
- BTCL এর আলাপ অ্যাপ – সবচেয়ে কম রেটে কথা বলার অ্যাপস
প্রয়োজনীয় এপস – সেরা এন্ড্রয়েড গেম
প্রতিনিয়ত প্লেস্টোরে এন্ড্রয়েড গেমের সংখ্যা বাড়ছে। এত এত এন্ড্রয়েড গেমসের মাঝে আপনি ভাল মজার এন্ড্রয়েড গেমস খুঁজে তাহলে নিচে দেওয়া এই গেমসগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।
- Baseball Superstars 2021: বেসবল খেলতে পছন্দ করেন তাহলে এই গেমসটি আপনার জন্য। আপনি বেসবল একটি টিম তৈরি করে নিজের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এছাড়াও খেলার স্টোডিয়াম, লোগো ইত্যাদি নিজের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এই গেমসের গ্রাফিক্স দারুন উন্নত। এটি খেলার সময় আপনি দারুন উপভোগ করবেন। তো আর দেরি কেন এক্ষণি
- Genshin Impact: এটি একটি খুবই ভালো মানের এ্যাডভেন্সার গেম। গেমটির গল্প এবং এর টাস্কগুলো খুবই মজাদার একারণে গেমটি খেলেও মজা পাবেন। দারুন অভিজ্ঞতা পেতে এখনি গেমটই প্লেস্টোর থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে ফেলুন।
প্রয়োজনীয় এপস
প্রয়োজনীয় এপস
আজকের আর্টকেলটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট কুরে জানাবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। উপরে আমি যেই এপস গুলোর কথা আলোচনা করলাম এর বাইরেও আপনার কোন এপসের নাম জানা থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে দিন যাতে অন্যেরা উপকৃত হতে পারে।
ভাল থাকবেন সবাই আজ এ পর্যন্তই।
এক কথায় দারুন লেগেছে ভাই। অনেকগুলো দরকারি এপস সম্পর্কে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব দরকারি কিছু এপস সম্পর্কে জানতে পারলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখক ভাইকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন।
খুবি দরকারি এবং প্রয়োজনীয় এপস নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরকম দরকারি আর্টিকেল আরো চাই। ভাল থাকুন সবসময়।
আপনিও ভাল থাকুন ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত হেল্পফুল আর্টিকেল উপহার দেওয়ার জন্য। আমি আর্টিকেল লেখা শিখতে চাই। আমাকে আপনি হেল্প করবেন? আমি কি আপনার ওয়েবসাইটে লিখতে পারবো?
হ্যা অবশ্যই সাহায্য করবো,কেন নয়? আপনি লিখতে থাকুন কোন কিছু জানার থাকলে ফেসবুক ইনবক্সে আমাকে মেসেজ করবেন। আমি আপনাকে হেল্প করবো।
খুবি দরকারি এবং প্রয়োজনীয় এপস নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরকম দরকারি আর্টিকেল আরো চাই। ভাল থাকুন সবসময়।