ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস মেনু

  • Post author:
  • Post published:February 20, 2021
  • Post category:WordPress
  • Post comments:0 Comments
  • Post last modified:February 21, 2021
  • Reading time:5 mins read
You are currently viewing ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস মেনু

ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস অপশন নিয়ে কাজ করার জন্য ড্যাশবোর্ড মেনু থেকে Settings এর উপর মাউসের কার্সর নিয়ে গেলে  General, Writting সহ বেশ কিছু অপশন দেখা যায়। এর প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা কাজ আছে। একে একে সবগুলো অপশন নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস

setting

General:

ওয়ার্ডপ্রেস সেটিংস এর আন্ডারে প্রথম অপশন হল General. ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ড মেনু থেকে Settings ->General এ ক্লিক করুন তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি পেজ পাবেন।

General_Settings_WordPress

এখানে বেশ কিছু অপশন আছে। প্রত্যেকটা অপশন নিয়ে আলদা আলাদা ভাবে আলোচনা করা হল।

  1. Site Title: এখান আপনার সাইটের টাইটেল সেট করতে পারবেন। Site Title এর সামনে ইনপুট বক্সে সাইটের নাম দিতে হবে। কাস্টমাইজ অপশন থেকেও টাইটেল সেট ও পরিওবর্তন করা যায়।
  2. Tagline: ওয়েবসাইটের ট্যাগলাইন/স্লোগান সেট এবং যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারবেন এখান থেকে। কাস্টমাইজ অপশন থেকেও টাইটেল সেট ও পরিওবর্তন করা যায়।
  3. WordPress Address (URL): এটা হলো ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরির URL যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের এর সকল মূল(Core) ফাইলসমূহ জমা থাকে।
  4.  Site Address (URL): এখানে আপনার সাইট এর URL প্রদান করুন যা আপনার ব্রাউজারে প্রদর্শিত হবে।
  5. Administration Email Address: এখানে যে ইমেইল এড্রেসটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা আপনার ইউজার ইমেইল এড্রেস। এই ইমেইল এড্রেসের মাধ্যমে  আপনার ই-মেইল এড্রেস প্রদান করুন যা ভবিষ্যতে আপনাকে ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার এবং যেকোনো ধরণের আপডেট করতে সাহায্য করবে।
  6. Membership: চেক বএক্সে টিক মার্ক দিয়ে রাখলে যে কেউ আপনার সাইটে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে। টিকমার্ক না দিলে কেউ রেজিস্ট্রেষণ করতে পারবে না।
  7. New User Default Role: যদি কেউ আপনার সাইটে রেজিস্ট্রেষণ করে তাহলে তার ইউজার রোল কি হবে তা এখান থেকে সেট করে রাখতে পারবেন। ড্রপাডাউন আইকনের উপরে ক্লিক করলে সবক’টি ইউজার রোল দেখতে পাবেন। এখান থেকে যেটি খুশি সেটি সেট করে রাখতে পারবেন।
  8. Site Language: আপনার সাইট মেইনটেইনের জন্য ভাষা সেট করতে পারেন এখান থেকে।
  9. Timezone: আপনার এলাকা অনুযায়ি টাইমজোন সেট করতে পারবেন এখান থেকে।
  10. Date Format: আপনার চাহিদা অনুযায়ী সাইটে সময়ের ফরম্যাট সেট করতে পারবেন।
  11. Week Starts On: সপ্তাহ কি বার থেকে শুরু হবে তা এখান থেকে সেট করতে পারবেন এখান থেকে।

উপরে পূরণকৃত সকল তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য Save Changes বাটনে ক্লিক করতে হবে।

Writing:

Writing Writing সেটিংস লেখার অগ্রাধিকার/অভিজ্ঞতা নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কাস্টমাইজ করার জন্য বিভিন্ন অপশন প্রদান করে।

এই সেটিংস এর মাধ্যমে আপনি পোস্ট, পেজ এবং পোস্ট টাইপ সংযোজন ও সম্পাদনায় নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। একইসাথে ঐচ্ছিক কার্যাবলী যেমন- দুরবর্তী প্রকাশনা, ই-মেইলের মাধ্যমে পোস্ট এবং সার্ভিস আপডেটেও নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।

Writing Settings এ যাবার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড মেনু থেকে Settins -> Writting ক্লিক করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি পেজ পাবেন। এখান থেকে রাইটিং সংক্রান্ত যাবতীয় সেটিংসগুলো কন্ট্রোল করতে পারবেন।

Writing_Settings_WordPress

এখানে বেশ কিছু অপশন আছে নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

  1. Default Post Category: এখানে পোস্টের জন্য ডিফল্ট ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। ডিফল্ট ভাবে Uncategorized সেট করা থাকে। আপনি চাইলে যেকোন ক্যাটাগরি সেট করতে পারেন।
  2. Default Post Format: বিভিন্ন ধণের পোস্ট ফরম্যাট নির্বাচন করার জন্য এই অপশনটা ব্যবহার করা হয়। এটা থিম কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটার মাধ্যমে বিভিন্ন টাইপের পোস্টের জন্য বিভিন্ন স্টাইলও তৈরি করা যায়।
  3. Default Editor For All Users: আপনার ওয়েবসাইটে যদি ক্লাসিক এডিটর প্লাগিন ইন্সটল করা থাকে তাহলে এ অপশনটি শো করবে না হলে শো করবে না। এটার মানে হলো। আপনি ডিফল্ট ভাবে গুটেনবার্গ অথবা ক্লাসিক এডিটর যেকোন একটাকে সেট করে রাখতে পারবেন।
  4. Allow users to switch editors: এই অপশনটাতে Yes টিক মার্ক করে রাখলে পোস্ট ক্রিয়েট করার সময়। ক্লাসিক অথবা গুটেনবার্গ এডিটরে মুভ করা যাবে।
  5. Post via e-mail:  ই-ইমেইল এর মাধ্যমে আপনার ব্লগে পোস্ট তৈরি এবং পোস্ট প্রকাশনার জন্য এই অপশনটি ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করে। এই সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে POP3 এক্সেস সম্বলিত একটি গোপন ই-মেইল একাউন্ট সেটআপ করতে হবে এবং এই এড্রেসে রিসিভ হওয়া যেকোনো মেইল সরাসরি ব্লগে পোস্ট হবে।
  6. Post via email: ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি যে ই-মেইলগুলো পাঠাবেন এটা সেগুলো পড়ার সম্মতি দেয় এবং পূনরায় ব্যবহার এর জন্য সংরক্ষন করে রাখে। এটা করার জন্য আপনার প্রয়োজন POP3 উপযোগী মেইল সার্ভার এবং এটার জন্য থাকতে হবে একটি URI এড্রেস। যেমন- mail.example.com এর জায়গায় মেইল এড্রেসটি প্রদান করতে হবে।
  7. Password: উপরের ই-মেইল এড্রেসের জন্য পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
  8. Default Mail Category: সকল পোস্টের জন্য কাস্টম ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা হয় যা ই-মেইল দ্বারা পোস্ট প্রকাশনা করা যায়।
  9. Update Services: যখন আপনি নতুন পোস্ট পাবলিশ করবেন, ওয়ার্ডপ্রেসে অটোমেটিক বক্সের মধ্যে Update Services ক্লিক করুন।

সব শেষে সব তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার জন্য Save Changes বাটনে ক্লিক করুন।

Reading:

ফ্রন্ট পেজ সংক্রান্ত কন্টেন্ট সেট করার জন্য রিডিং সেটিংস ব্যবহার করা হয়। রিডিং সেটিংস এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছামত যেকোন পেজকে ফ্রন্ট পেজ হিসেবে সেট করতে পারবেন। নিচে Reading Settins সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ড মেনু থেকে Settings -> Reading এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি পেজ পাবেন। এখান থেকে রিডিং সংক্রান্ত যাবতীয় সেটিংসগুলো কন্ট্রোল করতে পারবেন।

Reading_Settings_WordPress

এখানে বেশ কিছু অপশন আছে নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

  1. Your homepage displays: আপনার ওয়েবসাইটে ফ্রন্ট পেজ ডিসপ্লে করার জন্য দুটি অপশন পাবেন (১) Your latest posts, (২) A static page (select below)। আপনি যদি Your latest posts সেলেক্ট করে রাখেন তাহলে সাম্প্রতিক করা পোস্টগুলো ধারবাহিক ভাবে ফ্রন্ট পেজে প্রদর্শিত হবে। আর যদি A static page (select below) সেলেক্ট করে দেন তাহলে ডান পাশের ড্রপ ডাউন অপশন থেকে যেকোন পেজ সেলেক্ট করতে পারবেন। যেই পেজ সেলেক্ট করবেবেন সেই পেজটাই ফ্রন্ট পেজ হিসেবে প্রদর্শিত হবে। আর পোস্টের জন্য ইচ্ছামত পেজ বরাদ্দ করতে পারবেন। যেই পেজটাকে পোস্টের জন্য বরাদ্দ করবেন, সেই পেজটাই আপনার সমস্ত পোস্টগুলোকে ধারণ করবে।
  2. Blog pages show at most: প্রতি পেইজে কতগুলো পোস্ট প্রদর্শিত হবে তা সেট করতে পারবেন এখান থেকে। ডিফ্লট ভাবে ১০টি পোস্ট সেট করা থাকে।
  3. Syndication feeds show the most recent: ইউজার যখন কোনো একটি সাইট ফিড ডাউনলোড করবে তখন পোস্টের সংখ্যা দেখতে পারবে। ডিফল্টভাবে ১০টি পোস্ট সেট করা থাকে।
  4. For each post in a feed, include: আপনি কোন ফরম্যাটে পোস্ট প্রদর্শন করাবেন তা সেট করানোর জিন্য এই সেকশনটি ব্যবহার করা হয়। Full Text: এটা চেক করলে সম্পূর্ণ পোস্ট প্রদর্শিত হবে। ডিফল্টভাবে এটাই সেট করা থাকে Summary: এটা চেক করলে পোস্টের সারাংশ প্রদর্শিত হবে।
  5. Search engine visibility: চেকবক্সে ক্লিক করে রাখলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে এডিয়ে যাবে, ইন্ডেক্স করবে না। সাইট ভিজিটরদের ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি রেডি না হওয়ার আগ পর্যন্ত এটা টিক মার্ক দিয়ে রাখাই ভালো। সাইট রেডি হয়ে যাওয়ার পরে টিক মার্ক উঠিয়ে দিলেই হলো।

সব শেষে Save Changes বাটনে ক্লিক করলেই উপরের এডিট করা তথ্যগুলো সংরক্ষিত হবে।

Discussion:

 Discussion: অন্যান্য ইউজার থেকে আসা পোস্ট এবং পেজ নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই সেটিং অপশনটি এডমিন ইউজার ব্যবহার করে থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ড মেনু থেকে Settings -> Discussion এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি পেজ পাবেন। এখান থেকে Discussion সংক্রান্ত যাবতীয় সেটিংসগুলো কন্ট্রোল করতে পারবেন।

Discussion_Settings_‹__WordPress

Default post settings: নতুন কোন পেজ বা পোস্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে এটা ডিফল্ট সেটিং। এর আন্ডারে আরো তিনটি সাব সেটিং আছে-

  1. Allow link notifications from other blogs (pingbacks and trackbacks) on new posts: চেক মার্ক করে রাখলে অন্য ব্লগ থেকে পিংস(pings) গ্রহন করে।
  2. Allow people to submit comments on new posts: পোস্ট পাঠকদের কমেন্ট করার অনুমতি দিবেন নাকি দিবেন তা এখান থেকে নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।

আপনি চাইলে আলাদা আলাদা পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা সেটিং করতে পারবেন।

Other comment settings: কমেন্ট এর জন্য আরো ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ সেটিং আছে এই সেকশনটিতে-

  1. Comment author must fill out name and e-mail: যখন আপনি এই বক্স চেক করবেন তখন ভিজিটরদের নাম এবং ই-মেইল এড্রেস পূরণ করা বাধ্যতামূলক।
  2. Users must be registered and logged in to comment: যখন আপনি এই বক্স চেক করবেন তখন শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার্ড ভিজিটররাই কমেন্ট করতে পারবে। আর যদি চেক না করেন তাহলে যে কেউ যেকোনো সংখ্যক কমেন্ট করতে পারবে।
  3. Automatically close comments on articles older than days: এই অপশন এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী শুধুমাত্র বিশেষ সময়ের কমেন্টগুলো রাখতে পারেন।
  4. Enable threaded (nested) comments: যখন আপনি এই অপশনটি চেক করবেন তখন ভিজিটর রিপ্লাই দিতে অথবা আলোচনা করতে পারবে এবং তারা সাড়াও পাবে।
  5. Break comments into pages with top level comments per page and the page displayed by default: আপনার পেজে যদি প্রচুর পরিমান কমেন্ট থাকে তাহলে আপনি এই চেকবক্স চেক করে কমেন্টগুলোকে বিভিন্ন পেজে বিভক্ত করতে পারবেন।
  6. Comments should be displayed with the comments at the top of each page: আপনি কমেন্টগুলকে এসেন্ডিং(ascending) অথবা ডিসেন্ডিং অর্ডারে সাজাতে পারবেন।

Email me whenever: এই সেকশনে দুটি সেটিংস আছে-

  1. Anyone posts a comment: আপনি যখন এই চেকবক্স চেক করবেন তখন লেখক তার পোস্টের প্রতিটি সিঙ্গেল কমেন্টের জন্য একটি ই-মেইল পাবে।
  2. A comment is held for moderation: এডমিন কর্তৃক অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত আপনি যদি আপনার কমেন্ট আপডেট করতে না চান তাহলে এটা ব্যবহৃত হয়।

Before a comment appears: এই সেটিংস এর মাধ্যমে আপনি আপনার পোস্ট নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। এটারও দুটি সেটিংস রয়েছে-

  1. Comment must be manually approved: আপনি যদি এই লেখার বাম পাশে টিক মার্ক দিয়ে রাখেন তাহলে এডমিন ইউজার দ্বারা অনুমোদিত কমেন্ট গুলোই পোস্ট বা পেজে প্রকাশিত হবে।
  2. Comment author must have a previously approved comment: আপনি যদি এই লেখার বাম পাশে টিক মার্ক দিয়ে রাখেন তাহলে এমন লেখকের কমেন্ট অনুমোদন করতে পারবেন যার কমেন্ট ইতিপূর্বে ছিল এবং তার এই ই-মেইল এড্রেস এবং পূর্বের কমেন্টের ই-মেইল এড্রেস একই হতে হবে। অন্যথায় কমেন্টটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে থাকবে।

Comment Moderation: এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক লিংক থাকবে যেগুলোতে কমেন্ট গ্রহণযোগ্য।

Avatars: Avatar হলো একটি ছোট ছবি যা ড্যাশবোর্ড স্ক্রিনের উপররের দিকে ডান পাশের কর্নারে আপনার নামের পাশে প্রদর্শিত হয়। এটা দেখতে আপনার প্রোফাইল ছবির মতই। ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে Avatar সেট করার তিনটি সেটিং অপশন আছে-

  1. Avatar Display: এই বক্সে চেক মার্ক করে রাখলে এভাটার আপনার নাম এর পাশে প্রদর্শিত হবে।
  2. Maximum rating: এটা ছাড়া এভাটার এর জন্য আরো চারটি অপশন রয়েছে যেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি অপশন আপনি বেছে নিতে পারেন। এগুলো হলো G, PG, R এবং X । এটা হলো বয়স সেকশন যার মাধ্যমে আপনি নির্বাচন করতে পারবেন কোন ধরণের ভিজিটর এর কাছে আপনার পোস্ট প্রদর্শিত হবে।
  3. Default Avatar: এই সেটিং এর মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরণের এভাটার সেট করা যায়। ভিজিটর এর ই-মেইল এড্রেস অনুযায়ীও আপনি এই সকল এভাটার সেট করতে পারেন।

সব শেষে Save Changes বাটনে ক্লিক করলেই উপরের এডিট করা তথ্যগুলো সংরক্ষিত হবে।

Media:

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে যত ইমেজ ব্যবহার করা হয় তার হাইট এবং উইড এই সেটিং এর মাধ্যমে সেট করা যায়। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড মেনু থেকে Settings -> Media এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি পেজ দেখতে পাবেন। এই পেজ থেকে Media সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়গুলো কন্ট্রোল করতে পারবেন।

wordpress media

সেটিংস এর আন্ডারে কয়েকটি অপশন আছে যেগুলোর মাধ্যমে ইমেজের সাইজ নির্ধারণ করতে পারবেন-

  1. Thumbnail size: Thumbnail এর সাইজ সেট করতে পারবেন এই সেটিং এর মাধ্যমে।
  2. Medium size: ইমেজের height এবং width মধ্যম আকারে সেট করতে পারবেন।
  3. Large size: ইমেজের height এবং width বড় আকারে সেট করতে পারবেন।
  4. Uploading files: এই চেকবক্স চেক করলে আপলোড করা ছবিসমূহের জন্য বছর এবং মাসের উপর ভিত্তিকরে ফোল্ডার তৈরি হবে।

সব শেষে Save Changes বাটনে ক্লিক করলেই উপরের এডিট করা তথ্যগুলো সংরক্ষিত হবে।

Permalinks:

নির্দিষ্ট ব্লগ পোস্ট বা ক্যাটাগরির স্থায়ী লিংকই হল পার্মালিঙ্ক হলো। আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন ব্রাউজারের এড্রেস বারে যে লিঙ্কটি দেখতে পয়ান সেটাই হল পার্মালিংক। এই সেটিংস এর মাধ্যমে ডিফল্ট পার্মালিঙ্ক এর গঠন সেট করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট এর পার্মালিংক সেট করার জন্যই মূলত এই সেটিংস ব্যবহৃত হয়। Permalinks সেটিং করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ড মেনু থেকে Settings -> Permalink এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত একটি পেজ পাবেন। এখান থেকেই Permalink সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় কন্ট্রোল করতে পারবেন।

Permalink_Settings_WordPress

Common settings: Common settings এর আন্ডারে ৬টি অপশন আছে। আপনার ব্লগ এর permalink এর গঠন সেট করার জন্য যেকোনো একটি রেডিও বাটন চেক করে দিন।

  1. Plain:
  2. Day and name: এটা সেলেক্ট করে দিলে আপনার পোস্ট এর তারিখ এবং নাম অনুযায়ী URL গঠিত হবে।
  3. Month and name: এটা সেলেক্ট করে দিলে আপনার পোস্ট এর মাস এবং নাম অনুযায়ী URL গঠিত হবে।
  4. Numeric: এটা সেলেক্ট করে দিলে পোস্ট এর সংখ্যা অনুযায়ী URL গঠিত হবে।
  5. Post name: এটা সেলেক্ট করে দিলে আপনার পোস্ট এর নাম অনুযায়ী  URL গঠিত হবে।
  6. Custom Structure: এটা সেলেক্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছা মত URL সেট করতে পারবেন।

Optional: এগুলো ঐচ্ছিক। মেইন ক্যাটাগরি অথবা ট্যাগ URL এর জন্য আপনি কাস্টম গঠন সেট করতে পারেন। যদি আপনার টেক্সট বক্স খালি থাকে তাহলে ডিফল্ট সেটিং ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে আপনি দুইটি অপশন পাবেন।

  1. Category Base: আপনার ক্যাটাগরি URL এর জন্য কাস্টম প্রিফিক্স(prefix) যুক্ত করে।
  2. Tag Base: আপনার ট্যাগ URL এর জন্য কাস্টম প্রিফিক্স(prefix) যুক্ত করে।

Leave a Reply