অনলাইনে আয় ২০২১: অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়!

You are currently viewing অনলাইনে আয় ২০২১: অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়!
অনলাইনে আয় ২০২১: অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়!

অনলাইনে আয় ২০২১: অনলাইন থেকে আয় করা একটি স্মার্ট প্রফেশন। ঘরে বসে নিজের ইচ্ছামত সমইয়ে দারুন একটি ক্যারিয়ার আপনিও গঠন করতে পারেন। কিন্তু কিভাবে তা বুঝতে পারছেন না। কোন চিন্তা করবেন না, চাইলে আপনি করতে পারবেন অনলাইন থেকে আয়। দেশী বিদেশী বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অন্যান্য বাংলাদেশিদের মত আপনিও অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। ২০২১ সালের মত একোটা সময়ে এসে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পৃথিবী অনেকদূর এগিয়েছে। এখন আস্তে আস্তে সব কিছুই অনলাইনমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে। বিশ্বর এমন অনেক প্রতষ্ঠান আছে যাদের আসলে কোন ফিজিকালি অফিস নাই, প্রয়োজনও নাই, কিন্তু তারাও অনলাইন প্লাটফর্মেও মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার বিজনেস করছে। তো কথা হচ্ছে এমন একটা সময়ে এসে আপনি কেন হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবেন। চাকরি পাচ্ছেন না। সমস্যা কিএকটু মাথা খাটিয়ে আপনিও করতে পারেন অনলাইনে আয়। এর জন্য আপনার দরকার মেধা, শ্রম আর সময়। এই তিনটি জিনিসেয় ব্যবহার সঠিকভাবে করতে পারলে অনলাইনে আয় করা আপনার কাছে তুড়ির ব্যাপার। আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না তাইতো? কোনো সমস্যা নাই আপনি জাস্ট এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন অনলাইনে আয় করা কতটা সহজ।

অনলাইনে আয় ২০২১

তবে শুধুমাত্র টাইটেল পড়েই আবার সব কাজ কর্ম, পড়াশোনা, বিজনেস ইত্যাদি ছেড়ে অনলাইনের পিছে পিছে দৌড় দিয়েন না। তাহলে অনলাইন ইনকাম তো করতে পারবেনই না বরং আরো বিপদে পড়বেন। হতে পারেন আপনি একজন ছাত্র, গৃহিনী কিংবা চাকরিজীবী ছোট খাটো কোনো ব্যবসায়ি। আপনি বর্তমানে যে পেশায়ই থাকে না কেন কাজের পরে প্রতিদিন আপনার হাতে কিছু অবসর সময় নিশ্চয়ই থাকে। আপনি এই সময়টা অপচয় না করে, সঠিক ব্যবহা্রের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার চাকরি কিংবা লেখা পড়ায় কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও অনলাইন হতে বাড়তি কিছু টাকা আয় করে নিতে পারেন।

সময় যেভাবে ম্যানেজ করবেন

আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্রতিদিন কতটুকু সময় ফেসবুকিং, টিকটকিং, ইউটিউবে ফানি ভিডিও দেখে, বিভিন্ন প্রকার গেইম খেলে বেহুদা সময় পার করছেন? এগুলো করে আপনার লাভটা ক হচ্ছে আসলে? ধরেন প্রতিদিন আপনি ৩ ঘন্টা করে এসব প্লাটফর্মে সময় কাটাচ্ছেন। ৩০ দিনে ৯০ ঘন্টা ১ বছরে ১০৮০ ঘন্টা। বছরে ১০৮০ ঘন্টা আপনার জীবন থেকে হারিয়ে গেল। কিন্তু এখন থেকে আগামি একটা বছর এই অবসর সময়গুলোতে কিছু একটা স্কিল শেখার কাজে সময়গুলোকে কাজে লাগান তাহলে আগামি এক বছর পরে আপনি নিজেকে আলাদা একটা “আপনি” হিসেবে আবিষ্কার করতে পারবেন। চলতে গেলে মানুষের জীবনে টাকার দরকার হয়ই আপনা মূল্যবান সময় কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন তাহলে মন্দ কি! এই কিছু কিছু করতে করতে একময় আপনি অনলাইন মাধ্যমেই আপনার মূল প্রফেশনে পরিণত করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় ২০২১

অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে থাকেন যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবে কি না? কারণ অধিকাংশ লোকের কাছেই কম্পিউটা থাকে না। যাদের কাছে কম্পিউটার থাকে না তারা মনে যে, তাদের পক্ষে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব না। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো  কম্পিউটার না থাকলেও কিছু কিছু উপায়ে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টা ফোনটি ব্যবহার করে মানি জেনারেট করতে পারেন। তবে আপনি সিরিয়াস টাইপের কাজ করতে চাইলে একটি কম্পিউটারই লাগবে।

অনলাইনে আয় করা টাকা কিভাবে হাতে পাওয়া যায়

আমাদের দেশে এখনো অনেকে ফ্রিল্যান্সিং সিস্টেমে টাকা ইনকাম করাটাকে পজিটিভলি নেয় না। আমি বলবো জ্ঞান স্বপ্লতার কারণেই তারা এমনটি ভেবে থাকেন। অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় এটা ১০০% সত্য এবং সেই টাকা হাতে পাওয়া যায় এটাও ১০০% সত্য। কিভাবে হাতে পাবেন সেটা নির্ভির করে মূলত আপনি যে মার্কেটপ্লেস অথবা যে প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবেন সেই প্রতষ্ঠানের উপরে নির্ভর করে। দেশি কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ করে বিকাশের মাধ্যমেও টাকা নিতে পারবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলো এখনো বিকাশের পেমেন্ট করে না। সেক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট, পেপাল, পেওনিয়ার ইত্যাদি মাধ্যমে আপনার টাকা আপনি হাতে পেতে পারেন।

কি পরিমান অনলাইনে ইনকাম করা যায়

আমার পরিচিত অনেক মানুষ আছে যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক প্রয়োজন তারা কিছুটা হলেও পুরণ করতে পারছে। আবার এমন কিছু মানুষজনকে চিনি যারা এই অনলাইন ইনকাম দিয়ে বাড়ি গাড়ি কররে বিলাসী জীবন যাপন করছে। আম্পনি কি পরিমান ইনকাম করতে পারবেন নির্ভর করে আসলে আপনি কি ধরণের কাজ করবেন এবং কতটুকু সম্য কাজ করবেন তার উপর। যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২১

অনলাইন থেকে টাকা আয় করার হাজারো উপায় আছে। আপনার দরকার এর মধ্যে থেকে আপনার ভালো লাগে এমন কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টাকায় কনভার্ট করা। তবে এখানে একটা কথা জেনে রাখা ভালো, অনলাইন থেকে টাকা আয় করা কিন্তু খুব একটা সহজ কাজও না যে শুনলেন, আসলেন এবং জয় করলেন। এখানে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। শুরুদিকে হয়তো আপনি কোনো আউটপুট পাবেন না কিন্তু একটা সময় ঠিকই আপনি সফল হবেন।

আমি এখানে অনলাইন আয় করা যায় এরকম কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম উল্লেখ করছি। এসব মাধ্যমে আপনি চাইলেই কাজ করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে প্রপার কাজশিখত হবে।

০১। YouTube এর মাধ্যমে টাকা আয়

অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে YouTube. এখান থেকে নারী, পুরুষ তথা যেকোন বয়সের মানুষ খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান পৃথিবীর প্রথম সারির ১০টি ওয়েবসাইটের একটী হচ্ছে YouTube. এখান থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে। সেই ভিডিও দর্শকরা দেখার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি এখানে আপনার যেকোন ধরণের ভিডিওই আপলোড করতে পারেন। আপনি যদি ভ্রমন পিপাসু হন তাহলে আপনার ভ্রমনের ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ধারণ করেও আপলোড করতে পারেন। আবার আপনি একজন গৃহিনি আপনি খুব ভালো পায়েস রান্না করতে পারেন। কিভাবে পায়েস রান্না করতে হয় তা আপনার দর্শকদের ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে শেখাতে পারেন। এভাবে করে আপনি নাটক, সিনেমা, শিক্ষামুলক, বিনোদনমুলক যেকোন ধরণের ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে খুব ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারেন।

তবে এখান কথা আছে আপনি অন্যকোন সোর্স থেকে ভিডিও আপলোড করলেই ইউটিউব আপনাকে টাকা দেবে না। কোন প্রকার কপি করা ভিডিও আপলোড করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। নিজের ক্যামেরা অথবা মোবাইলে রেকর্ড করা ভিডিও দেখানো মাধ্যমেই কেবল ইনকাম করা সম্ভব।

ইউটিউব থেকে ইনকামটা আসে মুলত আপনার তৈরি করা ভিডিওর ফাকে ফাকে দর্শকদের এডভার্টাইজমেন্ট দেখানোর মাধ্যমে। ইউটিউব ওয়েবসাইটটি তিন ধরণের মানুষ

Advertiser with youtube ব্যবহার করে Content creators, Advertisers,  Viewers.

Content creators – ইউটিউবে যারা ভিডিও আপলোড করে থাকে তার কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে হবে।

Advertisers –  এরা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কন্টেন্টে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে তাদের কোম্পানীর প্রচার করে।

Viewers – যারা ইউটিউবে ভিডিও দেখতে আসে তারি হলো ভিউয়ার।

Content creators, Advertisers,  Viewers. এরা পরিচালিত হয় YouTube এর সিস্টেম দ্বারা। Advertisers দের কাছ থেকে YouTube টাকা নেয় এবং সেখান থেকে একটা অংশ সেই ইউটিউবারকে দেওয়া হয় যার ভিডিওতে বিজ্ঞাপনটি দেখানো দেখানো হয়।

০২। ব্লগিং করে অথবা ব্লগে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয়

ব্লগিং হলো একটি লেখালেখির পেশা। ইংরেজি বা বাংলায় বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখেও আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইনwritting a blog plostকাম এবং কাজের প্রসেসটা প্রসেসটা প্রায় ইউটিউবের মতই। ইউটিউবে ভিডিও বানাতে হয় আর ব্লগে আর্টকেল লিখতে হয়।

আপনি গোগল ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে লেখালেখি শুরু করতে পারেন। গুগল ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে বগ্লিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট সেটাপ করা খুবই সহজ। আপনি ইচ্ছা করলে এই কাজটি নিজে নিজে করতে পারবেন।

এগুলো অবশ্যই পড়বেন –

ওয়েবসাইট রেডি হয়ে গেলে আপনার কাজ হবে আর্টিকেল লেখা। আপনার ভালোলাগে এরকম যেকোন বিষয় নিয়ে আপনি আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন। ব্লগ থেকে আয় করার জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ধরে কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল পাবলিশ করে যেতে হবে। একটা সময় আপনার ওয়েবসাইটটি যখন গোগলে র‍্যাংকিং করবে। তখন আপনার ওয়েবসাইটে অটোমেটিক ভিজিটর আসা শুরু  করবে। তখন আপনি চাইলে গোগল এডসেন্স অথবা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। তখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটি হবে একটি সোনার ডিম পাড়া হাস। এখান থেকে আপনার একটা নিয়মিত ইনকাম হওয়া শুরু হবে।

ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য গোগলে বেশ কিছু নিয়ম আছে সেগুলো মেনে আপনাকে কাজ করতে হবে। তবে এগুলো বেশ কঠিন কিছু না। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব।

০৩। Freelancing – একজন লেখক হয়ে

আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ না থাকলেও আপনি ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হয়ে অনলাইন আয় করতে পারেন। সারা বিশ্ব এমন অনেক ওয়েবসাইটের মালিক আছেন তার নিজেরা কন্টেন্ট লিখতে পারেন না অথবা তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নাই। এজন্য তারা ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে তাদের ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখিয়ে নেয়।ফ্রিল্যান্স রাইটার

অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলিতে এধরণের অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি খুব ভালো মানের একজন কন্টেন্ট রাইটার হন তাহলে খুব সহজেই আর্টকেল লিখে খুব ভাল পরিমানে আয় করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটার কত টাকা ইনকাম করেন ধারণা নেওয়ার জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ফাইভারের এই গিগটি দেখে আসতে পারেন। এই ভদ্র মহিলা ১৫০০ ওয়ার্ডের একটি কন্টেন্ট লেখার জন্য ৩০০ ডলার চার্জ করেন। আমি যখন এই আর্টিকেলটি লিখছি সেই মুহুর্তে তার হাতে ১৮টি অর্ডার রানিং আছে। তো চিন্তা করেন ভালো আর্টিকেল লিখতে পারলে কি পরিমান আর্নিং করা যায়।

আপনি ইংরেজি না পারলে শুধুমাত্র বাংলাতে আর্টিকেল লিখেও আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে থাকেন। কাজেই এই কাজটি আপনি চাইলে অনাসেই করতে পারেন। আর এই পেশায় আপনি কাজ করতে করতে দক্ষ হতে থাকবেন আর আপনার আয়ও বাড়তে থাকবে।

০৪। প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মাধ্যমে

আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন আয় করতে পারেন। যেমন ধরুন – Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি বিষয়ে আপনার খুব ভালো জ্ঞান আছে। প্রশ্ন ও উত্তরতাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। এই কাজটি আপনি ভাল ভাবে পারলে ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করে কাজ করতে পারবেন। তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারেন। 

০৫। Alibaba, AMAZON এরকম ওয়েবসাইটে Products বিক্রি

ই-কমার্স বিজনেস

পন্য বেচাকেনার অনেক বিখ্যাত ওয়েবসাইট আছে যেগুলো সারা বিশ্বব্যাপী পণ্য বেচা কেনা। যেমন আলিবাবা, আমাজন আমাদের বাংলাদেশি বিক্রয় ডট কম, আজকের ডিল ডট কম  ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

০৬। ওয়েব ডেভেলপার হয়ে

আপনি ওয়েব ডেভেলপার হয়ে অনলাইন থেকে খুব ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন টপরেটেড এবং প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি। ওয়েবডেভেলপমেন্ট শেখার  জন্য  প্রগ্রামিং শিখতে  হবে।ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপার

তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে সময় নিয়ে ভালোভাবে এই কাজটি শিখে নিতে হবে। তাহলে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবেন। আবার ওয়েবসাইট বিক্রি হয়  এমন কোন প্রতিষ্টানের মাধ্যমে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারবেন। এখানে সবচে মজার ব্যাপার হলো এপেশার মাধ্যমে আপনি রয়ালিটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। মানে হলো আপনার একবার তৈরি করা কোন কাজ আপনি একাধিকবার বিক্রি করতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপাররা তাদের ডেভেলপ করা থিম প্লাগিন বিক্রি করে এরকম একটি বিখ্যাত ওয়েবসাইট হলো থিম ফরেস্ট। 

আবার বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন। যেমন ফাইভার ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, গুরু ডট কম, আপওয়ার্ক ডট কম বাংলাদেশি বিল্যান্সার ডট কম, কাজ কী ডট কম ইত্যাদি। আরকম আরো অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো থেকে  অনাআসেই ঘরে টাকা আয় করতে পারেন।

০৭। গ্রাফিকস ডিজাইনার হয়ে

আপনি গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে অনলাইন থেকে খুব ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন টপরেটেড এবং প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর মধ্যে গ্রফিক ডিজাইন একটি। এটি একটি সৃজনশীল পেশা। আপনার কৃয়েটিভিটি দেখানোর প্রচুর সুযোগ পাবেন।গ্রাফিক ডিজাইন

তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে সময় নিয়ে ভালোভাবে এই কাজটি শিখে নিতে হবে। তাহলে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবেন। আবার ডিজাইনের কাজ বিক্রি হয় এমন কোন প্রতিষ্টানের মাধ্য আপনার তৈরি করা ডিজাইন বিক্রি করতে পারবেন। এখানে সবচে মজার ব্যাপার হলো এপেশার মাধ্যমে আপনি রয়ালিটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। মানে হলো আপনার একবার তৈরি করা কোন কাজ আপনি একাধিকবার বিক্রি করতে পারবেন। আবার বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন।

০৮। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম

আপনি কি জানেন জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি এগুলা শুধুমাত্র বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, ইমেজ শেয়ার এবং মেসেজিং করার জন্যই না। এগুলোর মাধ্যমেও অনেকে ইনকাম করছে। সোসাল মিডিয়াতে অগুণতি মানুষের সমাগম, মানুষ এখানে আসে তাদের প্রয়োজনে এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোম্পানিগুলো এখানে তাদের ব্যবসার প্রচার করে। আপনি চাইলে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে এসব কোম্পানির হয়ে সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারেন। নিজের বিজনেস পেজ খুলে অনলাইনে দোকান খুলে বসতে পারেন।

আপনার একবা একাধিক জনপ্রিয় পেইজ, ফ্যান ফলোয়ার ইত্যাদি থাকলে আপনি বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো করার জন্য আপনার এখানে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্য্য থাকতে হবে।

০৯। ডাটা এন্ট্রির কাজ করে

অনলাইনে সহজে যেসব কাজ করা যায়  তার মধ্যে একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। সহজ কারণে আয় খুব কম কাজ পেতেও খুব বেগ পেতে হয়। আর এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। আপনার যদি ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার থাকে এবং আপনার টাইপিং স্পীড যদি ভালো হয় তাহলে আপনি এধরণের কাজ করতে পারেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়। সময়ের সাথে সাথে আপনার দক্ষতা যত বাড়বে আপনার আয়ও তত বাড়বে। আপনার কাজ হবে শুধু মনযোগ দিয়ে কাজটা করে যাওয়া। আপনি আপনার ইচ্ছামত সময়ে ফ্রিল্যান্স সাইটেগুলোতে জবের জন্য এপ্লাই করে কাজগুলো করতে পারেন।

১০। পিটিসি

অনলাইন এমন একটা জায়গা যেখানে আপনার কোন কাজের দক্ষতা না থাকলেও আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ইন্টারনেটে একটু খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন, অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। তবে আমি আমি ব্যক্তগত ভাবে এধরণের কাজ করার জন্য সাজেস্ট করি না কারণ পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয় এবং আয়ের পরিমান খুবই কম। এই ধরণের কাজ করার চাইতে আপনি প্রথমে কিছুটা সময় ব্যয় করে আপনার ভালোলাগে এমন কোন কাজ শিখুন। তাহলে অল্প সময়ে অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

১১। এফিলিয়েট মার্কেটিং কর

অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে আয় করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। বিশ্বের প্রায় সবগুলো নামি দামি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর এফিলিয়েট সিস্টেম চালু আছে। আপনি এসব প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশ ভালো পরিমানে আয় করতে পারেন। বাইরের দেশের পাশাপাশি এখন আমাদের দেশেও বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিং আসার পরে অনলাইনে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে মানুষ অনলাইনের ততই ঝুকে পড়ছে কাজেই এটা একটা সম্ভাবনময় পেশা। এখান থেকে আপন আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। কিছুটা সময় নিয়ে এই কাজটা শিখে নিজের জন্য এখানে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারলে আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।

১২। ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম

প্রযুক্তি উন্নতি সাধণের ফলে মানুষ আস্তে আস্তে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। বাড়ছে অনলাইলে কেনাকাটার প্রবণতা। আপনি চাইলে একটি এ-কমার্স ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের পণ্য বেচতে পারেন আবার অন্যান্য ব্যবসায়িদের পণ্য বেচে ইনকাম করতে পারেন।

একটি ওয়েবসাইট খুললেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে না। আপনি এলাইনে সফল হতে হলে বেশ কিছু ট্রিকস অবলম্বন করতে হবে। আপনি প্রথমে এমন কিছু পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারেন যেসব পণ্যগুলো সচরাসর অনলাইনে পাওয়া যায় না। আবার পাওয়া গেলেও অন্যদের চাইতে কিছুটা কমে বা ডিস্কাউন্ট মূল্যে বেচে দিন। এতে করে আস্তে আস্তে আপনার ওয়েবসাইটের একটা শক্তিশালী ব্রান্ড ক্রিয়েট হবে মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্যতা বাড়বে। একসময় আপনার ব্যবসাটা অটোমেটেড হয়ে যাবে। আপনি ঘুমালেও আপনার ব্যবসা ঘুমাবে না। কাজটা একটু কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ তবে অসম্ভব কিছু না। আপনি শুরু করে দিন। সাফল্য ধরা দেবেই।

১৩। ছবি বিক্রি করে ইনকাম

আপনি কি একজন শখের ফটোগ্রাফার? ছবি তোলা আপনার শখ? কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার এই শখকে কাজে লাগিয়েও আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন। আর পেশাদার ফটোগ্রাফার হলেতো আরো ভালো কথা। অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনার ক্যামেরায় তোলা ছবি আপলোড করে রাখতে পারবেন। যেখান থেকে কোন গ্রাহক এসে ছবি ক্রয় করলে আপনি আপনার নির্দিষ্ট মূল্য পেয়ে যাবেন।

১৪। জরিপ বা সার্ভে থেকে আয়

কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের পণ্যের উপর ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে সার্ভে বা জরিপ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে করেও আপনি প্আরচুর পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।
সার্ভে করার জন্য আপনাকে উক্ত পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে। সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে, অতিরিক্ত কিছুই লিখতে হবে নেই। জরিপের দৈর্ঘ্য, আপনার প্রোফাইলের উপর নির্ভর করে আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য $১ থেকে $২০ ইনকাম করতে পারেন।

১৫। বিজ্ঞাপন দেখে আয়

অনলাইনে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দেখেও টাকা আয় করা যায়। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দাতার সংখ্যা এত বেশি যে রীতীমত তারা প্রতিযোগিতা করে। বিশ্বের প্রায় সব কোম্পানিই ইন্টারনেটে তাদের বিজ্ঞাপন দেয়।  ইন্টানেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা বিজ্ঞাপন দাতার থেকে বিজ্ঞাপন কালেক্ট করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করায়। ঐ ওয়েবসাইটগুলো আবার যেসব ভিজিটর বিজ্ঞাপন দেখছে তাদেরকে কিছু অর্থ প্রদান করে থাকে।

শেষ কথা

আপনি হয়তো ভাবছেন এতবড় একটা পোস্ট পড়লাম কিন্তু অনলাইনে আয় শুরু কিভাবে করবো তাইতো বুঝতে পারলাম না। আসলে এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল, আপনি ঠিক কি, কি উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। আমি উপরে যতগুলো মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করেছি এর বাইরেও আরো অনেক উপায় আছে অনলাইন থেকে আয় করার। কিন্তু আপনার একার পক্ষে সবকাজ শিখে সব ক্যাটাগরিতে কার করা সম্ভব না। আপনি যদি সিরিয়াসলি কাজ করতে চান তাহলে। আপনার ভাল লাগে এমন কোন বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে রিসার্চ করা শুরু করে দিন। পথই আপনাকে পথ দেখাবে।

যদি মনে করেন আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন একটা শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ায় সুযোগ করে দিন। আর ভালো না লাগলে নিচের কমেন্ট বক্সে দুলাইন লিখে জানানোর অনুরোধ করছি

Leave a Reply